বিএম কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
বরিশাল বিএম কলেজে ডিগ্রি ছাত্রাবাসের ছাত্রদের দফায় দফায় হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ইউনুস আলীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন এবং তাদেরকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীররাতে সংঘর্ষে আহত ৪ ছাত্র বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ ছাত্র হচ্ছে, ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান, হুমায়ন কবির, মেহেদি হাসান ও আফজাল হোসেন। তারা সবাই ডিগ্রি ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্র।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, ডিগ্রি ছাত্রাবাসের পেছনে একটি চায়ের দোকানে ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান একই ছাত্রাবাসের অপর ছাত্র রুবেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামানকে মারধর করে রুবেল ও তার সহযোগীরা। মনিরুজ্জামান ছাত্রাবাসে ফিরে এসে তার সহযোগীদের নিয়ে পুনরায় ওই চায়ের দোকানে যায়। সেখানে গিয়ে রুবেলকে না পেয়ে দোকানি শাহীনকে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে।
এরপর মনিরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা রাত আড়াইটার দিকে ডিগ্রি হোস্টেলের ১০৫ নম্বর কক্ষের মেহেদি হাসান ও আফজাল হোসেনকে কুপিয়ে আহত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রাবাসের অন্য ছাত্ররা একজোট হয়ে মনিরুজ্জামানসহ ভোলা জেলার ছাত্রদের কক্ষগুলোতে হামলা চালায় এবং মনিরুজ্জামান ও হুমায়নকে পিটিয়ে আহত করে। হামলার মুখে ভোলা জেলার ছাত্ররা রাতে ছাত্রাবাস ত্যাগ করলে ওই কক্ষগুলোতে তালাবদ্ধ করে দেয় ক্ষুদ্ধ ছাত্ররা।
এসব ঘটনায় আহত ৬ ছাত্রের মধ্যে রাসেল ও শাহীন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অপর ৪ ছাত্র শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে আহত ছাত্রদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এমএএস/আরআই