সপ্তাহে বেড়েছে মাছ ও মাংসের দাম


প্রকাশিত: ০৭:২০ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৫

২০ দলীয় জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ আর গত চার সপ্তাহ টানা হরতালের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ ও মাংস দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিভাগ সবজির দাম।

রাজনৈতিক সহিংসতা আর টানা হরতাল-অবরোধে বাজারে সরবরাহ কম, অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ার কারণ বলছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাজধানীর মুগদা, খিলগাঁও, রামপুরা, বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহে গরুর মাংস ও মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। বেড়েছে মাছের দামও। তবে কমেছে পেয়াজের দাম।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা বিক্রি করছে, খাসির মাংস বিক্রি করছে ৫৫০-৫৮০ টাকায়। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও দাম। কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১০-১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়, কক মুরগি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিভাগ সবজি গত সপ্তাহের দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি কেজি সাদা আলু ১৪-১৫ ও লাল আলু ২০-২২ টাকা, বেগুন ৩০-৩৪ টাকা, ফুলকপি আকারেভদে ১৫-২৫ টাকা, বাধাকপি ২০-২৫ টাকা, শালগম ২৫ টাকা, করলা ৬০-৬০ টাকা, শিম প্রকার বেধে ৩২-৪০ টাকা, টমেটো ২০-২৪ টাকা, গাজর ২০ টাকা, মূলা ১৫-২০ টাকা, শশা ২০-২২ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, মটরশুটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-২৮ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকাদরে বিক্রি করছে।

প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম আকারভেদে প্রতিটি ২০-৩৫ টাকা ও ব্রোকলি প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজ প্রকার বেধে কেজি প্রতি ২-৫ টাকা কমে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি করছে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৬-৩৮ টাকা, দেশি রসুন কেজি প্রতি ৯৫ টাকা, মোটা রসুন ৮৫-৯০ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা মাছবাজারে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৬০০-৮০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দামও গত সপ্তাহের দামে অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোটলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৪-১১০ টাকায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৭-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা,নাজির শাইল ৫২-৫৮ টাকা ও বিআর আটাশ ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচেছ।

সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৭৫ টাকা, কাল জিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে।

খিলগাঁও বাজারের বাজারের ক্রেতা আব্দুল রহমান জাগোনিউজকে বলেন, হরতাল অবরোধে সরবারহ কম অজুহাতে প্রতিদিনই পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু বাজারে কনো পণ্যের অভাব নেই। সব ধরনের জিনিসপত্রে দাম চড়া। মাসের বেতন দিয়ে খরচ চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই মাসে গরুর মাংস বেড়েছে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তা আমাদের পক্ষে কেনা অসম্ভব।ব্রয়লার মুরগি কিছুটা কম ছিল তাও এ সপ্তাহে কেজি প্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

মাংসের বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়ায় ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আবার মুরগি আনার বহন খরচও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই আমাদের ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এসআই/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।