আবারও মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতিশ


প্রকাশিত: ০২:৪৫ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি আস্থা ভোটে মুখোমুখি হওয়ার আগমুহূর্তে পদত্যাগ করায় শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শুক্রবার সকালে গভর্নর কেশরী নাথ ত্রিপাঠি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করায় আবারও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেল জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের। রোববার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ১৬ মার্চ তাকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। খবর এনডিটিভি ও জিনিউজ।

জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা নীতিশ কুমার গত লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর নিজে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে মাঝিকে স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। তবে সেই আস্থার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ফলে মাঝিকে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নীতিশ। বেশ কিছুদিন ধরেই বিহার সরকারে জিতেন রাম মাঝিকে নিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এর মধ্যেই গত ৯ ফেব্রুয়ারি জিতেন রাম মাঝিকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করে জেডিইউ। তার পরই সেখানে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। ২৩৩ সদস্যবিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় জেডির (ইউ) বিধায়ক ১১৫ জন। তাদের বেশিরভাগই নীতিশ কুমারের প্রতি আস্থা জানিয়েছেন।

তা ছাড়া জেডির (ইউ) প্রতি সমর্থন রয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের ২৪ এমএলএর। ৫ কংগ্রেস এমএলএ, দু`জন নির্দলীয় ও একমাত্র সিপিআই বিধায়কও নীতিশ কুমারের পাশে রয়েছেন। অন্যদিকে জিতেন রাম মাঝিকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির ৮৮ জন ও তিন নির্দলীয় বিধায়ক।

শনিবারই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার কথা ছিল জিতেন রাম মাঝির। এ জন্য ১১৭ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন ছিল তার। পদত্যাগের পর জিতেন রাম মাঝি বলেন, আমার কাছে আজও ১৪০ জনের বেশি বিধায়কের সমর্থন ছিল। কিন্তু বিধানসভায় রক্তাক্ত ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ ছিল না। স্পিকার গোপন ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করেননি। এজন্য আমার সমর্থক বিধায়করা বিপদে পড়েছিলেন। বিধায়কদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি আমাকেও হুমকি দেওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হতে থাকায় গভর্নরের কাছে ইস্তফা দিয়েছি।

জিতেন রাম মাঝিকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাওয়া নীতিশ কুমারের সামনে স্বপ্নপূরণে এখন আর আপাতত কোনো বাধা নেই। রোববার তার শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে। গর্ভনর তাকে ১৬ মার্চ জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে বলেছেন। শনিবার দুপুরেই তার বাড়িতে সমর্থক বিধায়কদের এক জরুরি বৈঠক হয়। জিতেন রাম মাঝির পদত্যাগের পর নীতিশ বলেন, আগের পদক্ষেপের (পদত্যাগ) জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চাই। এ ধরনের কাজ আর করব না। বিজেপির বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে জিতেন রাম মাঝিকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ তুলে নীতিশ কুমার বলেছেন, বিজেপির গেম প্ল্যান ব্যর্থ হয়েছে। তবে নীতিশ ফের মুখ্যমন্ত্রী হলেও বিহার সরকারের ক্ষমতার নাটাই বিজেপির হাতেই থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা নীতিশ-মাঝি দ্বন্দ্বে জেডি (ইউ) দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেলে শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাবে বিজেপি।

এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।