হাত বদলের পথে জ্যাকসনের ‘নেভারল্যান্ড’


প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৪

২৭০০ একর জমির ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চোখ জুড়ানো এক খামারবাড়ি৷ সুদৃশ্য অট্টালিকা, বিনোদন পার্কসহ রয়েছে আস্ত একটা চিড়িয়াখানা৷ উঁকি মারছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাচ্চাদের মূর্তি৷ রয়েছে আস্তাবল, সিনেমাহল৷ পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের নেভারল্যান্ড রাঞ্চের প্রতিটি পরতে রয়েছে এই সঙ্গীত সম্রাটের শৈশবের স্বপ্ন৷

২০০৯ সালে মারা যান। জ্যাকসনের মৃত্যু পর সর্বসাধারণের দেখার জন্য এখানেই রাখা হয়েছিল তার মরদেহ৷ অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে মাইকেল জ্যাকসন এস্টেটের হাতছাড়া হতে চলেছে এই খামারবাড়িটি৷ ২০০৮ সাল থেকেই এর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে টম বারাকের কোম্পানি ‘কলোনি ক্যাপিটাল’৷ এর মালিকানাও এখন মূলত তাদের হাতে৷ কিন্তু তারা নাকি ইতিমধ্যেই নেভারল্যান্ডকে বিক্রি করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে৷ তাদের এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত জ্যাকসনের পরিবার৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক প্রতিনিধি জানান, ‘আমরা ভীষণ হতাশ এবং দুঃখিত৷ এটা দুর্ভাগ্যজনক যে , নিজের জীবদ্দশাতেই এক ম্যানেজারের কুপরামর্শে মাইকেল নেভারল্যান্ডের সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন৷ আশা রাখি নেভারল্যান্ডের নতুন মালিক এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব আর বৈশিষ্ট্যকে সম্মান করবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে  গলফ কোর্স মালিক উইলিয়াম বোনের কাছ থেকে এই খামারটি কিনেছিলেন জ্যাকসন৷ ‘পিটার প্যান ’ উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোটদের রূপকথার রাজ্যের অনুকরণে এর নাম দিয়েছিলেন ‘নেভারল্যান্ড ’৷ কিন্তু আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় ২০০৮ সালে ২৩ .৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কলোনি ক্যাপিটাল সংস্থার কাছে এর দেখভালের দায়িত্ব তুলে দেন জ্যাকসন৷

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।