আত্মহত্যা করতে এসেছিলাম


প্রকাশিত: ০২:১৫ এএম, ০২ এপ্রিল ২০১৬

আত্মহত্যা করতে এসেছিলাম
দামি পোশাক পরা সম্ভ্রান্ত চেহারার এক ভদ্রলোক স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে দাঁড়ানো দুজন গ্রাম্যলোককে দেখে জিজ্ঞেস করলেন-
ভদ্রলোক : এখন কোন ট্রেন আসবে?
গ্রাম্যলোক : স্যার, এখন একটা মালগাড়ি আইব।
ভদ্রলোক : এরপর কোন গাড়ি আসবে?
গ্রাম্যলোক : এরপর আইব একটা লোকাল ট্রেন।
ভদ্রলোক : কেন, কোনো স্পেশ্যাল ট্রেন আসবে না?
গ্রাম্যলোক : ইসপিশিয়াল তো স্যার চইলা গেছে কখন। ক্যান, আপনে কই যাইবেন?
ভদ্রলোক : যাব না, আত্মহত্যা করতে এসেছিলাম। তা আর হলো না। বুঝলেন, আমার মতো লোক তো আর যে-সে ট্রেনের  নিচে পড়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।

****

পুনম তো চিন্তায় অস্থির
পুনমের মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলো-
অপর প্রান্ত : তোমার কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে?
পুনম : না না, কেউ নেই! আমি সিঙ্গেল!
অপর প্রান্ত : কী? নেই না? আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড রাজ, চিনতে পারছ? সবাইকে তাহলে এই বলে বেড়াও?
পুনম : না না, রাজ, আই অ্যাম স্যরি। আমি ভেবেছি- আমার বড় ভাই! রাগ করে না!
অপর প্রান্ত : হ্যাঁ, তুই ঠিক ধরেছিস! আমি তোর দাদা!

****

লজ্জায়ই মারা যায়
আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের তিন বন্ধু ঘুরতে বেরিয়েছে। কে কাকে টেক্কা দেবে তা নিয়ে প্রত্যেকেই ব্যতিব্যস্ত।

আমেরিকান : আমরা বীর? কোনো বাঘ যদি আমাদের সামনে আসে, তাহলে তার দিকে শুধু বন্দুকটা তাক করলেই কেল্লা ফতে! গুল্লির কোনো দরকার নাই!

ব্রিটিশ : এ আর এমন কী? আমাদের এমন সাহস যে ঝোলার ভেতর থেকে বন্দুকের নলটা যদি কোনোভাবে বাঘ ব্রাদারের নজরে পড়েছে, তাহলে সেখানেই তার হার্ট অ্যাটাক হবে।

বাংলাদেশি : আরে ধুরো মিয়ারা! তোমরা কোন জমানায় আছ? আমাদের তো বন্দুক-ফন্দুক কিসসু লাগে না! ওই সব আমাদের সাহসের কাছে ফালতু জিনিস, ফাও প্যাঁচাল!

কথা শুনে আমেরিকান আর ব্রিটিশ তো অবাক। জিজ্ঞেস করল, ‘তাইলে তোমরা বাঘরে মারো ক্যামনে?’

বাংলাদেশি : বাঘ আমাদের সামনে আসলে তার সামনে গিয়া আমরা শুধু কই- এ রাআআ...ম! তুমি ন্যাংটো-পুটো? বাঘটা তখন লজ্জায়ই মারা যায়!

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।