সপ্তাহের রসালাপ: হাঁসের বদলে বাঁশ
রকিব সাহেব খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বাজারের ব্যাগ নিয়ে রওনা দিলেন বাজারের উদ্দেশে। ছুটির দিন, বাসায় নাকি মেহমান আসবে। এতে আজকের বাজারটা হতে হবে সমৃদ্ধ।
বউ দূর থেকে ডেকে বললেন, ‘ওগো শুনছো, একটা ভালো দেখে হাঁস এনো।’ রকিব সাহেব না বুঝেই ‘আনবো আনবো’ বলে হাত নাড়ালেন।
রকিব সাহেব প্রথমে গেলেন মাংসের দোকানে। সেখানে গিয়ে তো মাথায় হাত। এমনিতেই মাসের শেষ। মানিব্যাগও বেশ হালকা। মাংসের দামেও আগুন। সেই আগুনের আঁচে তার মাথা দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে।
একটু ঝেড়ে কেশে দোকানদারকে বললেন, ‘একটু কম রাখা যায় না?’ দোকানদার অমনিতেই ক্ষেপে গেলেন। বললেন, ‘দূর হন মিয়া, মাংস কিনোন লাগবো না।’
এরই মধ্যে রকিব সাহেবের মনে হলো বউ বোধহয় কিছু একটা নিতে বলেছিল, দেখি পাই কি না। কিন্তু সেই দোকানে গিয়ে তো আরও একবার যেন পাপ করে বসলেন। দাম শুনেই চিৎপটাং!
ফলে খরচ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বুদ্ধি আঁটলেন তিনি। এই বাজারে বোকাদের কোনো স্থান নেই। একটু বুদ্ধি না করে চললে বাঁচা মুশকিল।
বাজার করা শেষে বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে বউকে হাক দিলেন। বাড়ির মেইন ফটকে ঢুকেই রকিব সাহেব বলতে শুরু করলেন, ‘কই গো শুনছো, দেখো তোমার প্রিয় জিনিস নিয়ে এসেছি। যেই দাম বাবারে বাবা।’
দৌড়ে এসে জিনিস দেখে বউয়ের তো মাথায় হাত। রেগে গিয়ে বলল, ‘আমি বললাম হাঁস, তুমি নিয়ে এলে বাঁশ? ওগো তোমার মাথাটা কি গেছে? নাকি ইদানিং কানেও কম শোনো?’ রকিব সাহেব হতভম্ব হয়ে বললেন, ‘তুমি তাহলে বলেছিলে হাঁস; আমি তো শুনেছি বাঁশ!’
ছবি: রিফাত কান্তি সেন
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
এসইউ/এমএস