আজকের জোকস : ২০ জানুয়ারি ২০১৬


প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

একদিন হাবুল ডাব চুরি করতে গাছে উঠল। কিন্তু হাবুলের পা পিছলে গেল। তাই সে ডাব ধরে ঝুলতে থাকল। এমন সময় হাবুল দেখল মফিজ ঘোড়া নিয়ে গাছের নিচ দিয়ে যাচ্ছে। সে মফিজের কাছে সাহায্য চাইল।
মফিজ : ৫০০ টাকা লাগবে।
হাবুল : ঠিক আছে।

মফিজ যখন তার ঘোড়ার উপর দাঁড়িয়ে হাবুলকে সাহায্য করছিল, তখনই ঘোড়াটি দৌড় দিল। ফলে দু’জনই ডাব ধরে ঝুলতে থাকল। এমন সময় তারা বল্টুকে দেখতে পেল, বল্টু হাতি নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছিল। তারা বল্টুকে সব বলল এবং সাহায্য চাইল।
বল্টু : ১০০০ টাকা লাগবে।

তারা রাজি হল। কিন্তু এবারও হাতি পালালো। তাই তিনজনই ডাব ধরে ঝুলতে থাকল। এমন সময়...
হাবুল : তোরা কে কয় টাকা পাবি?
মফিজ : আমি পামু ৫০০ টাকা।
বল্টু : আমি ১০০০ টাকা।
হাবুল : এবার বল তোরা দু’জনে আমাকে ২০০০ টাকা দিবি। নয়তো আমি হাত ছেড়ে দেব!

****

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল। লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন।
‘আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।’ বললেন তিনি।
লোকটি বলল, ‘আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।’

ক্ষেতের মালিক মনে মনে উকিলের উপর চটে গেলেন।
তিনি বললেন, ‘আমাদের এদিকে ঝগড়া মীমাংসা করার ধরণ একটু ভিন্ন। আমরা ঝগড়া মীমাংসা করি তিন লাত্থি পদ্ধতিতে।’
উকিল বলল, ‘তিন লাত্থি পদ্ধতি কি?’
ক্ষেতের মালিক বললেন, ‘প্রথমে আমি তোমাকে তিনটি লাত্থি দেব। তারপর তুমি আমাকে তিনটি লাত্থি দেবে। আবার আমি তোমাকে তিনটি লাত্থি দেব। এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ সারেন্ডার করে।’

উকিল দেখল এখন মামলা করলে অনেক সময় নষ্ট হবে, হাঁস হয়তো পাওয়া যাবে না, পাওয়া গেলেও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে।
তাছাড়া এই বৃদ্ধকে সে অচিরেই তিন লাথিতে হারাতে পারবে। তাই সে এই পদ্ধতিতে মীমাংসা করতে রাজি হয়ে গেল।

বৃদ্ধ প্রথম লাথিটা মারলেন তার হাঁটুতে, উকিল চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। দ্বিতীয় লাথিটা ধেয়ে এল তার নাক বরাবর, উকিল রক্তাক্ত মুখে মাটিতে শুয়ে পড়ল। তৃতীয় লাথি আঘাত করল উকিলের বুকে, উকিল ব্যথায় ককিয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেল।

অজ্ঞান হলে তো চলবে না। উকিল তার সমস্ত শক্তি একত্র করে উঠে দাঁড়াল। বৃদ্ধকে কষে একটা লাথি মারার জন্য পা তুলল সে। ঠিক সেই মুহূর্তে বৃদ্ধ হেসে বললেন, ‘আমি সারেন্ডার করলাম। তোমার হাঁস তুমি নিয়ে যাও।’

****

সাগরে নৌকা নিয়ে ঘুরতে গেল এক আমেরিকান, এক ইন্ডিয়ান আর এক বাংলাদেশি। হঠাৎ পানি থেকে একটা দৈত্য উঠে এল। দৈত্য প্রচণ্ড রাগী কণ্ঠে বলল, ‘তোরা অনুমতি ছাড়াই আমার এলাকায় ঢুকেছিস। এখন আমি তোদের মেরে ফেলব!’

ওরা ভয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। ওদের কান্নায় দৈত্যের মন কিছুটা নরম হল। দৈত্য বলল, ‘ঠিক আছে, তোদের একটা চান্স দিচ্ছি। তোরা কোনো কিছু সাগরের পানিতে ফেলে দিবি। যদি আমি সেটা তুলে আনতে পারি তাহলে তোদের মেরে ফেলব। আর যদি না তুলে আনতে না পারি ছেড়ে দেব।’

আমেরিকান লোকটি বন্দুকের একটা বুলেট পানিতে ফেলল। দৈত্য সঙ্গে সঙ্গে সাগরের পানিতে ডুব দিয়ে সেটা তুলে আনল, আর আমেরিকান লোকটিকে মেরে ফেলল।

এবার ইন্ডিয়ান লোকটি একটা সুই পানিতে ফেলে দিল। দৈত্য সঙ্গে সঙ্গে সাগরের পানিতে ডুব দিয়ে সেটা তুলে আনল, আর ইন্ডিয়ান লোকটিকে মেরে ফেলল।

এবার বাংলাদেশি লোকটির পালা। সে তার স্যালাইনের প্যাকেট খুলে সবটুকু স্যালাইন পানিতে ঢেলে দিল! এখন ঠ্যালা সামলাও, বাঙালি কী জিনিস?

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।