সপ্তাহের রসালাপ: গোপালের গোয়েন্দাগিরি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ০৪ মার্চ ২০২২

 

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সময় যানবাহনের খুবই অসুবিধা ছিল। স্থলপথ ছাড়া জলপথ দিয়েও লোক যাতায়াত করত। জল পথে বজরাই তখনকার দিনে যাতায়াতের একমাত্র উপায়।

সেই রাজ্যের এক নারীকে প্রায়ই দেখা যেত বজরায় উঠতে। এরপর এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করত সে। কোলে থাকত কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখা এক শিশু। শিশুটিকে সর্দি কাশির ভয়ে সব সময় জামা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ঢেকে রাখতেন, কেউ দেখলে মনে করত এক বছরের মত বয়স শিশুর সর্দি কাশির ভয়ে এমনি ভাবে জড়ান।

গোপাল মাঝে মাঝে পথে বেড়াতে গিয়ে এই ভদ্রমহিলাকে দেখত। মনে মনে শিশুটির কথাও ভাবত সে। একদিন কথা প্রসঙ্গে গোপাল মহারাজকে এই মেয়েটির কোলের শিশুটির ব্যাপারে তার সন্দেহের কথা খুলে বললো।

তখনকার দিনে দেশে প্রচুর চুরি ডাকাতি হতো। চুরি করা মালপত্র সেইসব জলপথে পাচার হয়ে যেত অন্য জায়গায়।
একদিন হঠাৎ সেই মেয়েটির সঙ্গে বজরায় দেখা গোপালের। অমনি গোপাল ও তার সঙ্গীরা মেয়েটিকে কোলের শিশু দেখাতে বলে।

মেয়েটি কোনো মতেই শিশুটিকে দেখাতে রাজী না। তখন গোপালের সঙ্গে থাকা লোকেরা জোর করে মেয়েটিকে কোলের ছেলেসহ রাজবাড়ীতে হাজির করে। মহারাজের সমনে ছেলেটিকে কোল থেকে নামাতে দেখা গেল ছেলে নয়, জড়ানো কাপড়ের মধ্যে যত রাজ্যের সোনা-দানা চোরাই মাল।

সঙ্গে সঙ্গে রাজা তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন। এভাবেই বেরিয়ে এলো চোর। আর বুদ্ধি ও সাহসের বলে চোর ধরার জন্য ও দেশের অনেক উপকার হলো। এজন্য মহারাজ গোপালকে অনেক পুরস্কার দিলেন।

লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।