সপ্তাহের রসালাপ: বাঘে চাটে হরিণের গাল

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

ফাত্তাহ তানভীর রানা

নদীঘেরা এক বনে বাস করতো মেছোবাঘের ছানা। সে মেছোবাঘের বড় বাচ্চা হলেও ছিল সুচতুর। সে নিজের খাবার নিজেই সংস্থান করতো। তার খাবারের তালিকায় মাছ ও ইঁদুরই বেশি ছিল। সারাজীবন কি আর পোকা-মাকড় ও মাছ খেতে ভালোলাগে?স্বাদের পরিবর্তন ঘটানো আবশ্যক।

একদিন তার মনে খায়েস হলো সে হরিণ খাবে। কত বাঘ হরিণ শিকার করে! তারও তো চেহারা কিছুটা বাঘের মতোই। বনের অনেকে বাঘের মাসি বলে সম্মানও করে। এই কি কম কথা? কিন্তু হরিণ তো সে মেরে খেতে পারবে না। আবার হরিণকে ডাকলেও কাছে আসবে না। তাই সে ফন্দি আটতে লাগলো! কি করা যায়?

একদিন সে একটি হরিণের বাচ্চা পেয়ে গেলো। মেছোবাঘ বললো, এই তুই আমাকে চিনিস? হরিণ শাবক ভয়ে ভয়ে বললো চিনি। সুযোগ সন্ধানী মেছোবাঘ হরিণকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বললো, জানিস আমি সুন্দরবনের রয়েল বেঙল টাইগারদের ছোট মামা।

আমি সেখানেই ছিলাম। পথ ভুল করে আমি আর আমার মা এই বনে ঢুকেছি। আর আমার বাবা আরেকটা বিয়ে করেছে বলে মা রাগ করে দূরে রয়েছে। তবে শিগগির ফিরে যাব। তোকে ইচ্ছা করলে এখন খেয়ে ফেলতে পারি! কিন্তু আমি কারো ক্ষতি করি না। তাই এখনো খাইনি! তবে কেউ আমার সঙ্গে বেয়াদবি করলে অনেক শাস্তি দিয়ে তবেই তাকে খাই।

হরিণ শাবক ভয়ে অস্থির! মেছোবাঘ বুঝতে পারলো হরিণ ভয় পেয়েছে! এবার কাজ হয়েছে! সে বললো, আমি যা বলব তাই যদি তুই শুনিস, তবে তোকে ছেড়ে দেব। হরিণ ভয়ে ভয়ে বললো, সব কথা শুনবো। তবুও হুজুর আমাকে খাবেন না বলুন।

মেছোবাঘ মহা খুশি! এবার বললো, তুই সোজা হয়ে দাঁড়া, আমি তোর গাল চাটবো। হরিণ সোজা হয়ে দাঁড়ালো আর মেছোবাঘ তার গাল চাটতে লাগলো। কি মজা! কি মজা! দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম। মেছোবাঘ মনে মনে ভাবল এই হরিণ কি বোকা! এখনো আমাকে চিনতে পারেনি। হরিণ না খেলেও হরিণের গাল তো চাটলাম; ভাবল মেছোবাঘ।

এখন মেছোবাঘ সবাইকে বলতে পারবে, সে হরিণ পেয়েছে; তবুও হরিণ খায়নি। হরিণের গাল চেটেছে মাত্র! সে বুঝলো, মেছোবিড়াল হয়েও কদাচিৎ হরিণীর নাগাল পাওয়া যায়!

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।