আজকের জোকস : ২০ ডিসেম্বর ২০১৫


প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

গোয়েন্দা প্রধান : চোরাকারবারিদের অনুসরণ করে তুমি কি হোটেল সুপার স্টারে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী : অবশ্যই, স্যার!
গোয়েন্দা প্রধান : ওরা তোমাকে চিনে ফেলেনি তো?
গোয়েন্দা সহকারী : অসম্ভব, স্যার। আমি ছদ্মবেশ নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকে গেছি।
গোয়েন্দা প্রধান : কিসের ছদ্মবেশে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী : স্যার, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে।
গোয়েন্দা প্রধান : কী? হোটেল সুপার স্টারের মতো একটা জায়গায় তুমি ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে গিয়েছ? তোমাকে তো ভেতরে ঢুকতেই দেওয়ার কথা না!
গোয়েন্দা সহকারী : হা হা! স্যার কি আমাকে অত বোকা ভেবেছেন? জানতাম, ঢুকতে দেবে না। সে জন্য আগে থেকেই গলায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম!

*****

একদিন এক কৃষকের বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলেন এক গোয়েন্দা। সহজ-সরল কৃষককে ধমক দিয়ে-
গোয়েন্দা : সরে দাঁড়াও, আজ তোমার বাড়িতে তল্লাশি করব!
কৃষক : তল্লাশি করতে চান, করুন স্যার। কিন্তু দয়াকরে বাড়ির উত্তর দিকের মাঠটাতে যাবেন না।

গোয়েন্দা কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে-
গোয়েন্দা : এটা চেন? এখানে আমার নাম লেখা আছে! এটা দেখলে যে কেউ ভয়ে কুঁকড়ে যায়! আর তুমি কিনা আমার কাজে বাধা দিতে চাও?

ধমক খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক। কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দা চিৎকার করে দৌড়াচ্ছেন-
গোয়েন্দা : বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও।

কৃষক ছুটে গিয়ে দেখলেন একটা ষাঁড় গোয়েন্দাকে তাড়া করছে। দূর থেকে কৃষক বললেন, ‘স্যার, ওকে আপনার পরিচয়পত্রটা দেখান!’

*****

এক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুসন্ধানের কাজে গেছেন গোয়েন্দা-
গোয়েন্দা : গত রাতে পাশের বাড়ি থেকে আপনারা কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছেন?
প্রতিবেশী : নাহ! গোলাগুলি, চিৎকার আর ওদের কুকুরটার চেঁচামেচির যন্ত্রণায় কিছু শোনাই যাচ্ছিল না!

*****

ছোট্ট পাতা গেছে গোয়েন্দাদের অফিসে। দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড’ এর তালিকায় টাঙানো অপরাধীদের ছবি দেখে-
পাতা : তোমরা কি সত্যিই ওদের গ্রেফতার করতে চাও?
গোয়েন্দা : অবশ্যই।
পাতা : তাহলে ছবি তোলার সময়ই আটকে রাখলে না কেন?

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।