আজকের জোকস : পুরনো আমলের দরজা
পুরনো আমলের দরজা
টমাস এডিসন ছিলেন খুবই হিসাবি মানুষ। সব কাজেই তিনি কিছু না কিছু প্রাপ্তির চিন্তা করতেন। তাঁর একটি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের বাড়ি ছিল, যেটাতে তিনি অদ্ভুত সব প্রযুক্তির খেলা দেখিয়েছিলেন।
একদিন এক দর্শনার্থীকে তিনি বাড়িটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। আধুনিক সব যন্ত্রপাতিতে ভরা বাড়ির এক জায়গায় দেখা গেল একটি পুরনো আমলের ভারি দরজা। ওটা ঘুরিয়ে পাশের ঘরে যেতে হয়।
ওটা দেখে দর্শনার্থী খুবই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবকিছু এত আধুনিক হওয়া সত্ত্বেও এই দরজাটি এত পুরনো আর ভারি কেন?’
এডিসন তখন হেসে জবাব দিলেন, ‘এটা রাখা হয়েছে দু’টো কারণে। পুরোনো বলে সবাই এর প্রতি কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তখন সে কষ্ট করে হলেও ভারি দরজাটি ঘোরায়। আর ওটা একবার ঘোরালে আমার বাড়ির ছাদের ট্যাংকিতে আট গ্যালনের মতো পানি ওঠে। এটি বানানোর পর থেকে ছাদে পানি ওঠানো নিয়ে আমাকে আর ভাবতে হয় না।’
****
আমাদের বাড়িওয়ালার মতো
ঝন্টু আর মন্টু- দুই বন্ধুতে গল্প হচ্ছে-
ঝন্টু : জানিস, সেদিন একটা বহু প্রাচীন কেল্লায় গিয়েছিলাম। কেল্লার কোনো জায়গায় মেরামতের ছোঁয়া পড়েনি, প্রতিটি ইট এখনো আগের মতোই আছে। এমনকি দেয়ালে নতুন রংও দেওয়া হয়নি।
মন্টু : বাহ! মনে হচ্ছে কেল্লার মালিকের স্বভাব ঠিক আমাদের বাড়িওয়ালার মতো!
****
গল্পটা আমারই
বিখ্যাত মঞ্চাভিনেতা হেনরি আরভিং একবার মার্ক টোয়েনকে একটা গল্প বলছিলেন। গল্পের ভূমিকাটা বলেই আরভিং মার্ক টোয়েনের কাছে জানতে চাইলেন, ‘গল্পটা আপনি আগে শোনেননি তো?’
টোয়েন : না, শুনিনি।
গল্পের মাঝামাঝি গিয়ে আরভিং আবার বললেন, ‘গল্পটা আপনি আগে শোনেননি তো?’
মার্ক টোয়েন এবারও জানালেন, তিনি শোনেননি।
গল্পের শেষ দিকে গিয়ে আরভিং আবার একই প্রশ্ন করলে মার্ক টোয়েন রেগে গিয়ে বললেন, ‘দেখুন, আমি একবার মিথ্যে বলতে পারি, ভদ্রতা করে দু’বারও বলতে পারি, কিন্তু তিনবার পারি না। গল্পটা আমারই।
****
ইংল্যান্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে
লেখক জি. কে চেস্টারটনের সঙ্গে অনেকদিন বাদে একটি ক্লাবে বার্নার্ড শ’র দেখা। শ’র পাতলা রোগা চেহারা দেখে চেস্টারটন বললেন, ‘শ’ তোমাকে দেখে তো লোক ভাববে ইংল্যান্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে।’
শ’ চেস্টারটনের বিপুল পেটের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, ‘আর তোমাকে দেখে লোকে ভাববে সেই খাদ্যাভাবের জন্য তুমিই দায়ী।’
এসইউ/এমএস