আজকের কৌতুক: বিড়ালের নামকরণ
বিড়ালের নামকরণ
আদরের বিড়াল, তাই অনেক খুঁজে পেতে ‘বাঘা’ নামটাই পছন্দ হলো বিড়ালের মালিক সিফাতের। একজন শুনে বললো, ‘ধুর, বাঘের চেয়ে তো ড্রাগন অনেক শক্তিশালী, বিড়ালের নাম ড্রাগনই রেখে দাও।’ কথামতো তাই হলো।
আরেকজন শুনে বললো, ‘ড্রাগন যে আকাশে ভাসে, তার জন্য বাতাস প্রয়োজন, এটা জানো তো? কত ক্ষমতা তার! বেড়ালের নাম বাতাসই রাখো।’ তথাস্তু, তা-ই হলো।
কয়েকদিন পর আরেকজন বললো, ‘একমাত্র বড় প্রাচীরই পারে বাতাসকে আটকাতে, বোঝো কত তার হিম্মত! বেড়ালের নাম প্রাচীর হোক।’ ফের নাম বদল।
সেটাও টিকল না, যখন আরেকজন বললো, ‘প্রাচীর ফুটো করতে পারে কে, সেটা জানো তো?’ সিফাত বললো, ‘না, জানি না।’ ‘দেয়াল ফুটো করার ক্ষমতা একমাত্র ইঁদুরেরই আছে, চিন্তা করো কত শক্তি তার! তোমার বিড়ালের নাম ইঁদুর রেখে দাও, বেশ মানাবে!’ তাই হলো। শেষে আর একজন এসে বললো, ‘ইঁদুর কার কাছে জব্দ জানো তো? বিড়াল।’
****
ক্ষুধার্ত ডাকাতের হোটেল ডাকাতি
বিচারক: তুমি বলছ তুমি ক্ষুধার্ত ছিলে বলে হোটেল থেকে ক্যাশ ডাকাতি করেছ। কিন্তু হোটেলের খাবার ডাকাতি করাটাই স্বাভাবিক ছিল না?
ডাকাত: খেয়ে পয়সা না দেওয়াটা আমার জন্য অপমানজনক, মহামান্য আদালত।
বিচারক: তুমি ডাকাতি কত সেটা অপমানের না, খেয়ে টাকা দেওয়া অপমানজনক?
ডাকাত: জ্বি, মহামান্য আদালত। আমি একজন ডাকাতের সর্দার বলে কথা। খেয়ে বিল দেব না এমন কাজ আমি কখনো করতে পারি না।
****
যেমন মা তেমন তার ছেলে
ছেলে: মা! আমি কি বাইরে গিয়ে পল্টুর সঙ্গে খেলতে পারি?
মা: না। পল্টু ভীষণ পাজি ছেলে। লোকের বাড়িতে ঢিল মারে।
খোকা: পল্টু তো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
মা: কিন্তু ও ভীষণ বদমাশ ছেলে। তাই তুমি ওর সঙ্গে মিশতে যাবে না।
খোকা: তাহলে কি আমি বাইরে গিয়ে পল্টুর সঙ্গে মারামারি করতে পারি?
কেএসকে/এমএস