আজকের জোকস : বাসে নারীর গায়ে হাত দিলেন বৃদ্ধ
বাসে নারীর গায়ে হাত দিলেন বৃদ্ধ
বাসে এক শান্ত মেজাজের বৃদ্ধ হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে এক নারীর গায়ে হাত দিলেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা উঠেছে।
বিচারক: আপনাকে দেখে মনে হয় না, আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু কেন এ কাজ করতে গেলেন?
বৃদ্ধ: শুনুন তবে, ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাস যাচ্ছিল মতিঝিল থেকে মিরপুর। সিটে বসেই তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেন, তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতোমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন!
বিচারক: কী একশ’ বার ছোট ব্যাগ-বড় ব্যাগ, বড় ব্যাগ-ছোট ব্যাগ করছেন! ইয়ার্কি পেয়েছেন?
বৃদ্ধ: আপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন? পুরো আধাঘণ্টা ধরে দুইশ’ একত্রিশ বার চোখের সামনে এটা দেখার পর আমি গায়ে হাত দিয়েছি।
****
ক্রেতার উপর বিরক্ত পান বিক্রেতা
এক লোক পানের দোকানে গিয়ে একটা এক টাকার কয়েন দিয়ে এক খিলি পান চাইল। দোকানদার পান বানাতে শুরু করলে সে বলল, ‘জর্দা বেশি করে দেন।’ দোকানদার জর্দা দেওয়ার পর সে বলল, ‘মিষ্টি জর্দা নাই?’ দোকানদার বলল, ‘আছে।’ সে বলল, ‘ওইটাও দেন।’ দোকানদার সুপারি দেওয়ার পর সে বলল, ‘কম হয়ে গেছে তো, আরও ৩-৪ টুকরা দেন।’ দোকানদার দিলো। তারপর সে বলল, ‘পানের মসলা থাকলে দিয়েন।’ মসলা দেওয়ার পর বলল, ‘পানবাহার আছে?’ দোকানদার বলল, ‘আছে।’ সে বলল, ‘দেন। লং আছে?’ দোকানদার বলল, ‘আছে।’ সে বলল, ‘দেন।’ তারপর সে জানতে চাইল, ‘মেনথল আছে? থাকলে দিয়েন।’ দোকানদার বিরক্ত হয়ে মেনথল দিলো। তারপর দোকানদার পান খিলি করার সময় সে বলল, ‘পানটা ভালো করে রাংচা দিয়ে প্যাকেট করে দেন।’ তখন দোকানদার জানতে চাইল, ‘যে কয়েনটা দিয়েছেন, সেটাও কি খিলির ভেতর দিয়ে দেব?’
****
সবচেয়ে দ্রুত হয় কোন জিনিস
চার রাখাল আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে আলোচনা করছে, সবচেয়ে দ্রুত হয় কোন জিনিস।
প্রথমজন: চিন্তা, বুঝলে? হাতে কাঁটার খোঁচা খেলে কিংবা তামাকের ছ্যাঁকা খেলে কী হয়? সেটা চিন্তা হয়ে সাথে সাথে মাথায় ঘা দেয়!
দ্বিতীয়জন: আরে না। চোখের পাতা ফেলা হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আবার সব আগের মতো দেখা যায়।
তৃতীয়জন: উঁহু, আলো। দেখো না, সুইচ টিপতেই ঘর থেকে কিভাবে অন্ধকার সরে যায়?
চতুর্থজন: ধুর, সবচেয়ে দ্রুত হচ্ছে ডায়রিয়া।
সবাই: কিভাবে, কিভাবে?
চতুর্থজন: সেবার মেক্সিকোতে গরু বিক্রির সময় ওদের তরকারি খেয়েছিলাম, বুঝলে? ব্যাটারা এতো ঝাল খায়! রাতের বেলা হোটেলের বিছানায় শুয়ে আছি, হঠাৎ পেটটা কেমন যেন করে উঠল। তারপর আমি কোন চিন্তাও করতে পারলাম না, চোখের পলকও ফেলতে পারলাম না, এমনকি ঘরের সুইচও টিপতে পারলাম না, তার আগেই...
এসইউ/পিআর