আজকের কৌতুক : নাপিতের কাণ্ড!

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কৌতুক-এক : নাপিতের কাণ্ড!

সেলুনে চুল কাটাতে গেছেন এক নেতা। নাপিত কাঁচি চালাতে চালাতে বলছেন, ‘স্যার, শুনলাম জনগণ নাকি আপনার ওপর খুব খ্যাপা। যেকোনো দিন আপনার বাড়িতে হামলা চালাইবে! আপনি নাকি ঘুষের টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় বানাইছেন।’

নেতা ধমক দিকে বললেন, ‘এই ব্যাটা, চুপ থাক।’

পরদিন নাপিতের কাছে চুল কাটাতে এলেন এক সরকারি কর্মকর্তা। নাপিত তার চুল কাটতে কাটতে বললেন, ‘স্যার, আপনি নাকি দুর্নীতি করেন! গোয়েন্দারা নাকি আপনারে খুঁজতেছে!’

সরকারি কর্মকর্তাও নাপিতকে ধমক দিয়ে চুপ করালেন।

কয়দিন বাদেই নাপিতের দোকান ঘেরাও করলো পুলিশ। নাপিতকে আটক করে বলল, ‘এই ব্যাটা, তুই নাকি তোর কাস্টমারদের আজেবাজে কথা বলিস? তোর উদ্দেশ্য কী?’

নাপিত আমতা আমতা করে বললেন, ‘স্যার! এসব কথা বললে ভয়ে ওনাদের চুল খাড়া হয়ে যায়। আমার চুল কাটতে সুবিধা হয়। তাই বলি!’

****

কৌতুক-দুই : মুরগির খাঁচা ভাঙার পর

মাথায় খাঁচাভর্তি মুরগি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল এক কৃষকের ছেলে। এমন সময় খাঁচাটি মাথা থেকে পড়ে ভেঙে গেল, মুরগিগুলোও ছাড়া পেয়ে সব এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করলো। বহু কষ্টে সবগুলো মুরগি ধরে খাঁচার ভেতরে ঢুকালো সে। ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরলো। কৃষক বললেন, ‘কী রে, ফিরে এলি কেন?’

কৃষক পুত্র: ইয়ে মানে, আব্বা, যাওয়ার পথে খাঁচাটা ভেঙে মুরগিগুলো বেরিয়ে গিয়েছিল। অবশ্য আমি ১১টা মুরগিই ধরে ফেলেছি, কোনোটাই পালাতে পারেনি।

কৃষক: সাবাস ব্যাটা! তুই সাতটা মুরগি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলি!

****

কৌতুক-তিন : ভোট দেয়ার ওয়াদা

এক নেতা ভোট চাইতে ভোটারের কাছে গেছেন-

নেতা: চাচা, কথা দিন, ভোটটা আমাকেই দেবেন।

ভোটার: কিন্তু ভাতিজা, আমি যে আরেকজনকে ভোট দেবো বলে কথা দিয়ে ফেলছি।

নেতা: তাতে কী? কথা দিলেই যে কথা রাখতে হবে, তা তো নয়।

ভোটার : তাইলে ভাতিজা তোমারেও কথা দিলাম।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।