সড়কের পাশের ডাস্টবিন থেকে নিয়মিত ময়লা সরিয়ে নেয় সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি। তবুও জমে থাকা বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে নাকাল পথচারীরা। বিভিন্ন সড়কের পাশে ডাস্টবিনে প্রতিদিনের উৎকট দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস প্রায় ওই পথ দিয়ে যাতায়াতকারীদের। নগরবাসীর এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে পরিচ্ছন্ন রাজধানী গড়তে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। তারই অংশ হিসাবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে বসছে ছোট ছোট ডাস্টবিন।দুই সিটিতে ডাস্টবিন বসানোর কাজ এখনো চলছে। এরই মধ্যে পথচারীরা পুরনো অভ্যাস বদলে ডাস্টবিনগুলোতে ময়লা ফেলতে শুরু করেছেন। সচেতন ব্যক্তিরা এখন খালি বোতল, চিপস কিংবা চকোলেটের প্যাকেট ডাস্টবিনে ফেলছেন। এর আগে রাজধানীর যেখানে-সেখানে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হিমশিম খেতে হতো পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।জানা গেছে, ডিএসসিসি এলাকায় ৫ হাজার ৭০০টি ডাস্টবিন বসানোর লক্ষ্য রয়েছে। মে মাসের মধ্যেই এসব ডাস্টবিন বসানোর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যেসব স্থানে জনগণের ভিড় বেশি, আপাতত সেখানে ১৫০ মিটার পর পর বিন স্থাপন করা হচ্ছে। আর যেখানে জনসমাগম কম হয়, সেখানে স্থাপন করা হচ্ছে ৩০০ মিটার পর পর।এছাড়া ডিএসসিসি ইতোমধ্যে ২৫টি বর্জ ট্রান্সফার স্টেশন চালু করেছে। যেসব এলাকায় বর্জ্য ট্রান্সফার স্টেশন শুরু হয়েছে, সেখানে আর কেউ রাস্তায় ময়লা রাখতে পারছেন না।কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে এ ধরনের ৭২টি বর্জ্য ট্রান্সফার স্টেশন চালু হলে নগরীর রাস্তার ওপরে কোনো ময়লা থাকবে না।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, রাস্তার পাশের ডাস্টবিনের ময়লাতে যেন আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট না হয় সেজন্য ৮১টি পয়েন্টের ৫০টির ফেন্সিং ইতোমধ্যে লাগানো হয়েছে।এছাড়া উন্নত বিশ্বের আধুনিক ওয়েস্টবিন স্থাপিত হচ্ছে রাজধানীর হাতিরঝিলে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ডাস্টবিনগুলোর চেয়ে এগুলো ব্যতিক্রম। টেবিল আকৃতির ডাস্টবিনগুলোর দুই অংশের এক অংশে রিসাইকেবল বর্জ্য ও অপর পাশে সাধারণ বর্জ্য ফেলার সুব্যবস্থা রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতিরঝিলের চারপাশে মোট ৩২০টি ওয়েস্টবিন রাখা হবে। প্রতি ৩০ মিটার পর পর ওয়েস্টবিনগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২০০টি ওয়েস্টবিন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ব্রিজ এলাকার ফুটপাতে জনগণের চলাচল বেশি থাকায় দুই পাশে চারটি করে মোট ৮টি ওয়েস্টবিন দেয়া হচ্ছে।এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জানিয়েছেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আমরা টিম ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি, যাতে ঠিক মত কাজ হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করতে পারি।ডাস্টবিনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানান, জন দুর্ভোগের কথা ভেবেই রাস্তার পাশের ডাস্টবিনের বর্জ্য নিয়মিতই খুব দ্রুত পরিষ্কারের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আমাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া আছে, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি যাতে দুর্গন্ধে পথচারীদের কষ্ট পেতে না হয়।এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি ডাস্টবিনের বর্জ্যর কারণে সাধারণের যেন কোনো সমস্যা না হয় এর জন্য বিভিন্ন কাজ চলছে।এএস/এএইচ/একে/পিআর
Advertisement