দেশজুড়ে

শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের মানুষ। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা মৃদু শৈত প্রবাহ ও হিমেল হাওয়া বইছে। সারাদিন দেখা যাচ্ছে না এ জেলায় সুর্যের মুখ।দিনাজপুরে আজ শনিবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৯ শতাংশ। জেঁকে সবা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশী দূর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তারা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা। প্রচন্ড শীতে যবুথবু অবস্থা এ জেলার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানষের বেড়েছে চরম দূর্দশা। ঠান্ডার কারণে বের হতে পারছেন না তারা ঘরের বাইরে। শীত ও তীব্র শৈত্য প্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। এর পরও বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা।হিমেল বাতাসের ঝাপ্টায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আকস্মিক শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।হঠাৎ শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে বস্ত্রহীন ছিন্নমূল মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকলে এসব দরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে  বলে আশকা করছে আবহাওয়াবিদরা।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে কমতে শুরু করেছে বাতাসের আদ্রতা। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের ঝাপ্টা শীতেরর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।এদিকে শীত অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে কষ্ট দেখা দিয়েছে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে। শীতবস্ত্র না পাওয়ায় এসব মানুষেরা বহু কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।

Advertisement