ঈদ পূর্ব ও ঈদ পরবর্তী সময়ে যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোনে ৪টি ঈদ ষ্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৬ জুলাই থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের দু’দিন পর থেকে ৬ আগষ্ট পর্যন্ত এসব ট্রেন চলাচল করবে।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্রতি বছরের মত এবারও ঈদের জন্য ৯টি যাত্রীবাহী কোচ নিয়ে পার্বতীপুর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা রেলপথে ঈদ ষ্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। ৭২৮টি সিটের ঢাকা-পার্বতীপুর ঈদ ষ্পেশাল-২ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬.৪৫ মিনিটে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট, আক্কেলপুর, সান্তাহার, আহসানগঞ্জ, মাধনগর, নাটোর, ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়াইব্রীজ, উল্লাপাড়া, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও পূর্ব পাড়, মির্জাপুর, মৌচাক, জয়দেবপুর এবং বিমানবন্দর স্টেশন দিয়ে বিকেল ৩.৫০ মিনিটে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে পৌঁছাবে। দেড়ঘন্টা বিরতির পর ঈদ ষ্পেশাল-১ ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে একইপথে বিকেল ৫.২০ মিনিটে ছেড়ে রাত তিনটায় পার্বতীপুর এসে পৌঁছাবে।এদিকে ঢাকা-খুলনা রুটে ৫৯২টি আসনে ঈদ স্পেশাল-২ ট্রেনটি খুলনা থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে নোয়াপাড়া, যশোহর, কোটচাঁদপুর, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, বডাইব্রীজ, উল্লাপাড়া, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও পূর্ব পাড়, মির্জাপুর, মৌচাক, জয়দেবপুর এবং বিমানবন্দর স্টেশন দিয়ে রাত ৮.২০ মিনিটি ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে পৌঁছাবে। ১ ঘন্টা ৫ মিনিট বিরতির পর ঈদ ষ্পেশাল-১ ট্রেনটি পুনরায় একইপথে ওয়ানা দিয়ে সকাল ৭টায় খুলনায় পৌঁছাবে।ঢাকা-খুলনা ট্রেনের ৫৯২টি আসনের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ ৬টি (সিট-৯) প্রথম শ্রেণী বার্থ ১০টি (সিট-১৯টি), শোভন চেয়ার ১০০টি ও শোভন সাধারণ ৪৭৬টি আসন রয়েছে। পাশাপাশি পার্বতীপুর-ঢাকা ট্রেনের ৭২৮টি আসনের মধ্যে প্রথম শ্রেনী ফ্ল্যাট ২৪টি ও শোভন সাধারন ৭০৪টি। পার্বতীপুর ষ্টেশন মাষ্টার আব্দুল জব্বার জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়া ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসার সুবিধার্থে এই ষ্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
Advertisement