ধর্ম

শাবান মাসের ফজিলতের রহস্য কী?

হিজরি বছরের মধ্যে অন্যান্য মাসের তুলনায় শাবান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। যদিও এ মাসে  সুনির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিক কোনো ইবাদাত-বন্দেগির নির্দেশনা নেই। তথাপিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসের ১৪তম দিন দিবাগত রাতে নিজগৃহে ইবাদাত-বন্দেগিসহ নফল নামাজ পড়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন এবং উম্মতকে এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার তাগিদ দিতেন। শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস। শাবান মাস (মানুষকে) গুনাহ থেকে রক্ষা করে, রমজান মাস মানুষকে পবিত্র করে তোলে। তাছাড়া শাবান মাসকে বলা হয় রমজানের আগমন ঘোষণাকারী মাস।মধ্য শাবানের (১৪ শাবান দিবাগত) রাতে বেশি বেশি করে নফল ইবাদত করা উচিত। নিজ গৃহে নফল ইবাদত করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ গৃহে নফল ইবাদত করেছেন।সুতরাং শাবান মাসের ফজিলত লাভ করতে হলে বিশ্বনবির ইবাদাত-বন্দেগির পন্থা অবলম্বন করা উচিত। ইবাদাত-বন্দেগির পরিবেশ থাকলে নিজ গৃহে অবস্থান করে নফল নামাজ, জিকির-আজকারে রাত কাটিয়ে দেয়া উত্তম। অন্যথায় মসজিদে অনানষ্ঠানিকভাবে ইবাদাত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, কুরআন তিলাওয়াতে রাত্রি যাপন করা যেতে পারে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ রাতের ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement