রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ এ হাদিসের আলোকে বিশ্বনবির ছোট্ট আমল মিসওয়াক-এ রয়েছে ইহ ও পরকালীন জীবনের অনেক উপকারিতা। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-১. মিসওয়াকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।২. দারিদ্র্যতা দূর হয়ে সচ্ছলতা আসে এবং উপার্জন বৃদ্ধি পায়।৩. মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।৪. দাঁতের মাড়ি মজুবত হয়।৫. মাথা ব্যাথা উপশম হয়।৬. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।৭. স্মরণ শক্তি ও জ্ঞান বাড়ে।৮. অন্তর পবিত্র হয়।৯. ফেরেশতাগণ ঐ বান্দার সঙ্গে মুসাফাহা করেন।১০. নামাজের জন্য বের হলে তাকে সম্মান করে।১১. আরশ বহনকারী ফেরেশতা তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।১২. শয়তান অসন্তুষ্ট হয়।১৩. বিজলীর ন্যায় ফুলসিরাত দ্রুত পার হবেন।১৪. ডান হাতে আমলনামা পাবেন।১৫. সর্বোপরি পূত-পবিত্র হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে। মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হবে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। পরিশেষে...মিসওয়াকের উপকারিতা অনেক বেশি। যে কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি মিসওয়াক করতেন। তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার উম্মতের যদি কষ্ট না হতো, তাহলে আমি প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের সময় তাদেরকে মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।` (বুখারি)সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত ‘মিসওয়াক’ করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের অসংখ্য উপকার লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement