দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার অন্যতম কর্ণধার ও গ্রুপটির ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মুনাফার পরিমাণ। বিপরীতে কমেছে সুদজনিত ব্যয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এরপর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই ১৩ আগস্ট গ্রেফতার হন শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। যিনি বেক্সিমকো ফার্মার অন্যতম কর্ণধার এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন এক সময়ের মহাপ্রতাপশালী এ ব্যবসায়ী রাজনীতিক।
সালমান এফ রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর এরই মধ্যে প্রায় ছয় মাস হতে চলেছে। এ সময়ে তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো ফার্মা চলমান হিসাব বছরের ৬ মাসের (২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এই আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
Advertisement
বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফায় বেশি উন্নতি হয়েছে। এর পেছনে বিক্রি বাড়া যেমন ভূমিকা রেখেছে, অন্যান্য আয়ও বেড়েছে। পাশাপাশি কমেছে সুদজনিত ব্যয়। এতে আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশের বেশি।- প্রতিবেদন
প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফায় বেশি উন্নতি হয়েছে। এই মুনাফা বাড়ার পেছনে বিক্রি বাড়া যেমন ভূমিকা রেখেছে, তেমনই অন্যান্য আয়ও বেড়েছে। পাশাপাশি কমেছে সুদজনিত ব্যয়। এতেই আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন
নোভারটিসের ২৩০ কোটির শেয়ার হস্তান্তর ঠেকাতে গভর্নরকে আইনি নোটিশপোশাক কারখানা ও গাড়িতে আগুন দিলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরাবেক্সিমকোর অস্তিত্বহীন ১৬ প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকো ফার্মা এককভাবে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে ৩৫১ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয় ২৯৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা দাঁড়ায় ৬ টাকা ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ আগের হিসাব বছরের তুলনায় চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মার কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
Advertisement
এদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকো ফার্মার সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা হয় ৩০০ কোটি ৮১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে ৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মা পণ্য বিক্রি করে আয় করেছে ২ হাজার ৪০১ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ বিক্রি বেড়েছে ১৯৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বেক্সিমকো ফার্মার সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা হয় ৩০০ কোটি ৮১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে ৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।- প্রতিবেদন
পণ্য বিক্রির বিপরীতে চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ফলে মোট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে পণ্য বিক্রির বিপরীতে ব্যয় ছিল ১ হাজার ২২৬ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর মোট মুনাফা ছিল ৯৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ মোট মুনাফা বেড়েছে ১১৭ কোটি ৯০ লাখ ১২ হাজার টাকা।
বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির পরিচালন খরচও বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৫৮৯ কোটি ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ফলে ছয় মাসে পরিচালনা মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৫০৮ কোটি ৭৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে পরিচালন ব্যয় ছিল ৫২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আর পরিচালন মুনাফা ছিল ৪৫৪ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
পরিচালন মুনাফা বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির অন্যান্য আয়ও বেড়েছে এবং সুদজনিত ব্যয় কমেছে। ফলে কর-পূর্ববর্তী মুনাফায় ভালো উন্নতি হয়েছে। চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্যান্য আয় হয়েছে ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং সুদজনিত ব্যয় হয়েছে ৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে অন্যান্য আয় ছিল ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং সুদজনিত ব্যয় ছিল ৫৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফলে আগের বছরের তুলনায় ৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪ হাজার টাকা বেড়ে কোম্পানিটির কর-পূর্ববর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ কোটি ৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
এদিকে, কোম্পানিটির দেশের বাইরে থেকে নেওয়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে দেশের ভেতর থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ কমেছে। জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মার প্রজেক্ট লোন রয়েছে ১১২ কোটি ৪৫ লাখ ৯ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এই লোন ছিল ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, দেশের ভেতরে অগ্রণী ব্যাংকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ৬৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ব্যাংকটিতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১০৭ কোটি ৪৭ লাখ ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ, অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের প্রায় অর্ধেক পরিশোধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সালমান এফ রহমান
এছাড়া, বেক্সিমকো ফার্মার লিজ বাবদ দীর্ঘমেয়াদি ধার রয়েছে ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এই লিজ ছিল ৩২ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ, কোম্পানিটির লিজের পরিমাণও কমেছে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এ লিজ নেওয়া হয়েছে তার তথ্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানিটির দেশের বাইরে থেকে নেওয়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে দেশের ভেতর থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ কমেছে।- প্রতিবেদন
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মার প্রশাসনিক ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। তবে বেতন ব্যয় কমেছে। বেতন ব্যয় কমার পরও প্রশাসনিক ব্যয় বাড়ার কারণ যাতায়াত ও অন্যান্য ব্যয় বেড়ে গেছে।
২০২৪ সালের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেতন বাবদ ব্যয় রয়েছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রশাসনিক ব্যয় ছিল ৬৫ কোটি ২৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং বেতন বাবদ ব্যয় ছিল ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বেতন ব্যয় প্রায় ১ কোটি টাকা কমেছে।
সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে চলমান হিসাব বছরে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ৬ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ হিসাবে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় কমেছে।
বিপরীতে যাতায়াত খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৯৬ হাজার টাকা। আর প্রশাসনিক অন্য খাতগুলোতে ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ১১ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
এছাড়া কোম্পানি সেক্রেটারিয়াল, রেগুলেটরি ফি ও এজিএম খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এই ব্যয় হয় ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাো। অবচয় খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৫৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন
ফেব্রুয়ারিতেই বকেয়া বেতন পাবেন বেক্সিমকোর কর্মীরাবেক্সিমকো ফার্মা থেকে পদত্যাগ করলেন পাপনবেক্সিমকো ফার্মায় রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিতঅন্য খাতগুলো থেকে বেক্সিমকো ফার্মার আয় বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই আয় বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সুদজনিত আয়, রয়েলিটি এবং মুদ্রার বিনিময় হারের তারতম্য। বিপরীতে রপ্তানির বিপরীতে কোম্পানিটির নগদ সহায়তা পাওয়ার পরিমাণ কমেছে।
গত আগস্টে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাগারেই আছেন সালমান এফ রহমান
চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মার সুদ আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ৬৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রয়েলিটি থেকে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে আয় হয় ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। মুদ্রার বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে আয় হয়েছে ৬ কোটি ১২ লাখ ৬ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ৭ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লোকসান হয়।
অন্যদিকে, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পেয়েছে ৮ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
এছাড়া স্থানীয় সম্পত্তি বিক্রি করে লোকসান হয়েছে ৭৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকা আয় হয়। বিবিধ খাত থেকেও আয় কমেছে। বিবিধ খাত থেকে আয় হয়েছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে আয় হয় ২৪ লাখ ৫ হাজার টাকা।
একদিকে কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার জেলে থাকা, অন্যদিকে কোম্পানির বিক্রি, আয় ও মুনাফা বাড়া এবং সুদজনতি ব্যয় কমার বিষয়ে মন্তব্য জানতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে বেক্সিমকো ফার্মার সচিব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে প্রশ্ন শুনে তিনি কোনো মন্তব্য না করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তাকে আবার ফোনকল করা হলেও রিসিভ করা হয়নি।
এমএএস/এমকেআর/জেআইএম