আইসিসি চেয়ারম্যান পদের সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ- দুটি পদে একসঙ্গে থাকবেন না বলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদই ছেড়ে দিয়েছিলেন শশাঙ্ক মনোহর। এরপর আগামী দুই বছরের জন্য তিনি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান। তবে, শশাঙ্ক মনোহরের পদত্যাগের পর জোরালো গুঞ্জন ছিল- বিসিসিআ প্রেসিডেন্ট পদে মনোহরের উত্তরসূরী কে আসছেন?কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এ নিয়ে জোরালো কোন আলোচনা শোনা যাচ্ছিল না। তবে হঠাৎ করেই আলোচনাটা চলে আসলো সবার সামনে এবং ভিন্ন কিছু না ঘটে গেলে বিসিসিআইর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বর্তমান সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর। আগামী রোববারই অনুষ্ঠিত হবে বিসিসিআইর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।শশাঙ্ক মনোহর দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই অনুরাগ ঠাকুরের নাম শোনা যাচ্ছিল। যদিও সেটা খুব একটা শক্তিশালিভাবে নয়। তবে, বিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট পদে অন্যকারও নামও শোনা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এককভাবে উঠে আসছে অনুরাগ ঠাকুরের নাম।বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হলে অন্তত একটি রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থণ প্রয়োজন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শক্তিশালি অঞ্চল ইস্ট জোনের সমর্থন পেয়ে যাচ্ছেন অনুরাগ। ইস্ট জোনের ৬টি রাজ্যের সবগুলোরই সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল, ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, ওড়িষ্যা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাব অব কলকাতা, আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অনুরাগ ঠাকুরকেই তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিজেপির এই পার্লামেন্ট সদস্যই তাহলে আগামী বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, এমনটাই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। এন শ্রীনিবাসনের পরও তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে কথা উঠে আসছিল। তবে তিনি তখন সেক্রেটারি পোস্টেই নির্বাচন করেন। এরপর এসেছেন জগমোহন ডালমিয়া, তার মৃত্যুর পর এলেন শশাঙ্ক মনোহর। এরই মধ্যে বিসিসিআইতে নিজের একক কর্তৃত্ব স্থাপন করে ফেলেছেন অনুরাগ ঠাকুর।তবে তিনিও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। অনুরাগ ঠাকুর যেন বিসিসিআই নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, সে ব্যাপারে রুল চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিল একটা পক্ষ। যদিও সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিমকোর্ট। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বিহার অনুরাগের প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে রুল আদেশ চেয়ে পিটিশন দাখিল করেছিল। এই বিহারের আবেদনের প্রেক্ষিতেই ২০১৩ আইপিএলে ফিক্সিং নিয়ে তদন্তে নামে সুপ্রিম কোর্ট এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করে। যে কারণে, নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস।সেই ঘটনার উল্লেখ করেই অনুরাগের প্রার্থীতা ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল বিহার। তবে কোর্টের একটি বেঞ্চ শুনানি আয়োজন করে সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement