বয়স প্রায় ৩৩; তাতে কী। বল হাতে ধার কিন্তু এখনও কমেনি। আর তাই এখনও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন মোহাম্মদ শরীফ। বুধবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ এক হ্যাটট্রিক তুলে নেন শরীফ। দুর্দান্ত এই কীর্তি গড়ার পর মিসবাহ-উল হক ও আশিস নেহরার উদাহরণ টেনে এ ক্রিকেটার বলেন ফিটনেস ধরে রেখে পারফর্ম করতে পারলে তিনিও পারবেন জাতীয় দলে ফিরতে।মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের সপ্তম হ্যাটট্রিক করেন শরীফ। তার হ্যাটট্রিকে ১৬৮ রানে আটকে যায় শেখ জামাল। ইনিংস শেষে তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের দেশের কালচার এটা, ৩০ বছর হলেই বলে বুড়ো। অন্যদেশে এটা না, অন্যদেশে ৩০ হলে বলে সবে অভিজ্ঞ হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় না আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার কাছে মনে হয়, আমার দেওয়ার আরও কিছু আছে। ইচ্ছা আছে জাতীয় দলে ফেরার। যতদিন পারি ফিটনেস ধরে খেলে যাব।’বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঘরোয়া আসরে নিয়মিত পারফরমার মোহাম্মদ শরীফ। সংক্ষিপ্ত কিংবা দীর্ঘ যে ফরম্যাটই হোক না কেন, কিছু না কিছু অবদান থাকেই তার। তবুও জাতীয় দলে ডাক আসে না। এ কারণে নিজেকে অবহেলিত মনে করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শরীফ বলেন, ‘দুইবছর আগে আমি জাতীয় লিগে তৃতীয় সেরা উইকেটশিকারি ছিলাম, পাশাপাশি ভালো রানও করেছিলাম। আমাকে ডাকা হয়েছিল, বলা হয়েছিল আমি ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছি; কিন্তু শেষ মুহূর্তে নেয়া হয়নি।’অবহেলার জবাব চেয়েও পাননি শরীফ। তাই পারফরম্যান্স দিয়েই জবাব দিতে চান তিনি। তবে আর নয়, এমন অবহেলার সমাপ্তি চান তিনি। আগামী প্রজন্মকে যেন এমন কিছুর মুখোমুখি না হতে হয়, সেটাই করতে চান এ পেসার। সাকিব আল হাসানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সাকিবের বয়স এখন ২৮ হয়েছে, পরের বছর পারফর্ম না করলে বাদ দিয়ে দিবেন? আমি চাই এদেশে যেন এইটা উঠে যায়। মিসবাহ যদি ৪০ বছরে খেলতে পারে, ফিটনেস থাকলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কেন পারবে না! আশিস নেহরা আছে, অনেকেই আছে এমন উহাদরণ হয়ে।’আরটি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement