বিয়ে হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। যেহেতু এটা সারা জীবনের বন্ধন তাই হুটহাট করে বিয়ের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। একটু ভেবেচিন্তেই বিয়ে করতে হয়। যদিও প্রেমের বিয়েতে আগে থেকেই ছেলেটি/ মেয়েটি সম্পর্কে একটা ভালো জানাশোনা থাকে। কিন্তু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে তা থাকে না। তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো।শিক্ষাগত যোগ্যতাবিয়ের আগে উভয় উভয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিন। কারণ বেশির ভাগ বিয়ের ক্ষেত্রই এ ব্যাপারে তথ্য গোপন করতে দেখা যায়। তাই ঠকতে না চাইলে এ সম্পর্কে আগেই খবর নিন।ফ্যামিলি সম্পর্কে জানুনবিয়ে দুটি মানুষের সাথে সাথে দুটি পরিবারের মাঝেও হয়। কারণ এর মাধ্যমে দুটি পরিবারের দুটি মানুষের মাঝে বন্ধনের সৃষ্টি হয়। তাই কনে বা পাত্রের পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর করা জরুরি।উপার্জন সম্পর্কে জানুনপাত্র/ পাত্রী সৎ উপায়ে উপার্জন করছে কি না বিয়ের আগে আরও একবার চেক করে নিন। অনেক সময় ছেলেরা কম বেতন পেলেও তা বাড়িয়ে বলে। আবার কর্মক্ষেত্রে পদমর্যাদা ছোট হলে তাও গোপন করে। একই ব্যাপার ঘটতে পারে মেয়ের ক্ষেত্রেও। তাই এসব ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই বিয়ের দিকে এগোন।ডাক্তারি পরীক্ষা করুনপাত্র/পাত্রীর এইডস, হেপাটাইটিস বা যৌন কোনো রোগ আছে কিনা তা জানার জন্য আগেই ডাক্তারি পরীক্ষা করা উচিত।কারণ এসব রোগ পরবর্তীতে তার সঙ্গীকেও আক্রান্ত করতে পারে, তা জানা খুবই দরকার। তা না হলেপুরো জীবনটাই বরবাদ হয়ে যাবে।পারিবারিক মেডিকেল হিস্ট্রি সম্পর্কেপারিবারিক প্রেক্ষাপটের মতো পারিবারিক মেডিকেল হিস্ট্রি জানাটাও খুবই জরুরি। কারণ বিশেষ কিছু রোগ বংশগতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে বিস্তার করে। যেমন অটিজম, মস্তিষ্ক বিকৃতি, হাঁপানির মতো রোগ। কারণ এসব ব্যাপার পরবর্তীতে আপনার জীবনেও প্রভাব ফেলবে। তাই খোঁজখবর করে পারিবারের মেডিকেল হিস্ট্রি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানুনআপনা যাকে বিয়ে করবেন তার সাথে নিজের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতে বিয়ের পরে সংসার, ক্যারিয়ার, পরস্পরের প্রতি সমঝোতা ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা কম হবে।
Advertisement