দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে অনেকদিন ধরেই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছিল। এমনকি মানবিক সংস্থাগুলোও কোনো ধরনের সহায়তা দিতে পারছিল না।
Advertisement
প্রায় ৪৬০ দিন ধরে চলা সংঘাতে গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানান, চুক্তিটি আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, এই চুক্তি গাজার জনগণ এবং ইসরায়েলি বন্দীদের জন্য স্বস্তি এনে দেবে। গাজা সংঘাতের কারণে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা সমাধানের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় ১০ লাখের বেশি মানুষকে তারা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়া দরকার।
Advertisement
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতির খবরে বেশ স্বস্তি পেয়েছেন এবং জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের ওপরও জোর দিতে হবে।
অপরদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন যে, এই চুক্তি গাজার শিশুদের এবং ফিলিস্তিনি পরিবারের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনবে। এই যুদ্ধ গাজার শিশুদের ওপর একটি ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে এনেছে। সেখানে কমপক্ষে ১৪ হাজার ৫০০ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: কী আছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে? গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত, রোববার থেকে কার্যকর বন্দিদের জন্য চুক্তি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্পফিলিস্তিনের জন্য জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় সহায়তা কর্মকর্তা মুহান্নাদ হাদি বলেছেন, জাতিসংঘ এই চুক্তিকে সমর্থন করতে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য যতটা সম্ভব মানবিক ত্রাণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
টিটিএন
Advertisement