৩ জানুয়ারি শেরে বাংলায় ঢাকা ক্যাপিটালসের সাথে জয়। তারপর টানা ৬ দিন বিরতি পায় খুলনা টাইগার্স। সাতদিনের মাথায় আজ সিলেটে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে খেলতে নেমে হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
Advertisement
প্রশ্ন উঠেছে, সিলেটে আসলেই কি মোমেন্টাম হারায় খুলনা? দলটির বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ অবশ্য তা মানতে নারাজ। তার ব্যাখ্যা, ‘আসলে মোমেন্টাম হারিয়ে যায়নি। গতবার কিন্তু সিলেটে এসেও আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছিলাম। এমন হতেই পারে, একদিন এমন হতে পারে। আমরা আহামরি কোনো খারাপ খেলিনি। ১৮০ রান তাড়া করার মত ছিল। আমরা মাঝে কিছু উইকেট হারানোতে শেষে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
১৭৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ১০.৩ ওভারে (৬৩ বল) মাত্র ৫৯ রান তুলতে পারে খুলনা। হারায় ৩ উইকেট। সেখানেই আসলে তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে।
নিজ দলের ব্যাটিংয়ের মূল্যায়ন করতে গিয়ে নাসুম বলেন, ‘পাওয়ার প্লের ৫ থেকে ১০-১২ ওভার পর্যন্ত আমরা একটু কম রান করেছি। সেখানে আমরা একটু পিছিয়ে গেছি। সেখানে রান কম হওয়াতে শেষে পারা যায়নি।’ ঢাকায় খেলার পর লম্বা বিরতি। তা নিয়ে কোনো অভিযোগ আছে কি? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে খুলনা টাইগার্স স্পিনার নাসুম কোনোরকম নেতিবাচক ব্যাখ্যা দেননি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এটা (বিরতি) শুরুতেই হয়ে যাওয়ায় ভালো হয়েছে আমি মনে করি। সব দলেরই একটা না একটা গ্যাপ নিতেই হতো। এটা পেশাদারভাবেই নেওয়া উচিত।’ অধিনায়ক ও অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজ প্রত্যেকের ১ ওভার করে বাকি ছিল। দলের ৩ ফ্রন্টলাইন স্পিনারের বোলিং কোটা পূরণ না হওয়ার কারণ কী?
বিশেষ করে নাসুম নিজে যেহেতু ৩ ওভারে ২ উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন, মোহাম্মদ নেওয়াজও ৩ ওভারে ২৭ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট; তাদের কারোই ৪ ওভার পুরো বোলিং করানো হয়নি। কেন এমন হলো? নাসুম বলেন, ‘বোলিংয়ে যেহেতু বাঁহাতি স্পিনার দুজন ছিলাম, যদি ১০ ওভারের মধ্যে দুজনের মধ্যে একজনের বোলিং শেষ হয়ে যেত হয়তবা আমরা একটা ওভার শর্ট থাকতাম না। দুইটা বাঁহাতি স্পিনারের ১ ওভার করে রয়ে গিয়েছিল। এমন না হলে হয়তো এমনটা হতো না (ওভারের কোটা শেষ করা যেতো)। কারণ দুইজনই মেইন বোলার ছিল।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম
Advertisement