দেশজুড়ে

কলেরার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন সাড়ে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা-স্থানীয়

কক্সবাজারে আশঙ্কাজনক হারে কলেরা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে রোববার (১২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন। যা চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

Advertisement

ক্যাম্পেইনে জেলার ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। এর মধ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন।

ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।

কক্সবাজার জেলা ইপিআই স্টোর সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল।

Advertisement

তিনি জানান, ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে। এতে কক্সবাজারের সব রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও উখিয়ার সব ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইকং ও হ্নীলা ইউনিয়ন, রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পুরাতন ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডসহ নির্বাচিত এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এ টিকা দেওয়া হবে।

তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না। ইউভিকল এবং ইউভিকল-প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহজ। এটি ফ্রিজ ছাড়াও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, এবারের ক্যাম্পেইনে স্থানীয় এলাকাগুলোর জন্য ২৭২টি টিম গঠন করা হয়েছে। যেখানে ৭৪৪ জন ভলান্টিয়ার প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক হাজার ৬০৫টি টিম তিন হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রতিদিন ৩০টি বাড়ি পরিদর্শন করবে।

১২ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। একই দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ কার্যক্রম শুরু হবে।

Advertisement

এর আগে ২০১৭-১৮, ২০১৯ ও ২০২১ সালে কক্সবাজারে সাতটি সফল কলেরা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ডা. টিটু চন্দ্র শীল।

২০২৪ সালের জুন থেকে পুনরায় কলেরা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি। সবাই সুস্থ আছেন বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম