জুলাই বিপ্লবে আহত সিএনজি চালক আশরাফুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে আশরাফুলকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। এই নিয়ে আন্দোলনে আহত ১৩ জনকে বিদেশে নেওয়া হলো। এর মধ্যে দুজনকে সিঙ্গাপুরে, বাকিদের থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ন কবীর হিমু এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন আশরাফুল ইসলাম। ৫ আগস্ট বিক্ষোভ চলাকালে সকাল দশটার দিকে গুলি লাগে তার মাথায়।রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন তাকে নিয়ে আসেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। ভর্তি হন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদারের অধীনে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় দীর্ঘ দুই মাস।
Advertisement
তবে চিকিৎসকদের এত চেষ্টার পরও আশরাফুল সুস্থ হয়ে ওঠেনি। চার হাত-পা অবশ হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরেনি পুরোপুরি। মাঝে মাঝে চোখ মেলে তাকায় সে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলে ভেজিটেটিভ স্টেট।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মাঝে লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই চলতে পারত সে। কিন্তু জ্ঞান ফিরেনি পুরোপুরি। গত ১৪ ডিসেম্বর তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। দুটো ফুসফুসই আক্রান্ত হয়। সাথে রক্তচাপ কমে যেতে থাকে। আবার লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় আশরাফুলকে। ৩ বার তাকে নিয়ে বোর্ড মিটিং করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর রাখছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। কিন্তু মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশে নেওয়ার সুপারিশ করেনি। গত ৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আবার মেডিকেল বোর্ড করার নির্দেশ দেন। এ পর্যায়ে বোর্ড বিদেশে নেওয়ার পক্ষে মত দেয়।
সে অনুযায়ী আশরাফুলকে বিদেশে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় আশরাফুল ও তার স্ত্রীর পাসপোর্ট ছিল না। দ্রুত তাদের পাসপোর্ট করার ব্যবস্থা করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান। মন্ত্রণালয়ে টাকার ব্যবস্থা করা, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয় দ্রুত। মাত্র ৩ দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এএএম/এসআইটি
Advertisement