পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির কম্পিউটার পদে পদোন্নতি নিয়ে মারধরের ঘটনায় মেহেদী হাসান নাঈম (২৫) নামের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মেহেদী হাসান উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের মাসুদুল হক মুক্তারের ছেলে ।
Advertisement
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানিতে রিসিভম্যান হিসেবে চাকরি করতেন মেহেদী হাসান। তিনি কম্পিউটারে পারদর্শী হওয়ায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন। এ পদে কয়েকদিনের মধ্যেই তার পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। বুধবার সকালে অফিসে যাওয়ার পর পদোন্নতির বিষয় নিয়ে অফিস স্টাফদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে নাঈম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইপিজেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন মেহেদী হাসানকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
]
Advertisement
মেহেদী হাসান নাঈমের ফুপাতো ভাই আলম হোসেন বলেন, ‘নাঈম শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। তার হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট ছিল না। মারধরের কারণেই নাঈমের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত। নাঈম কয়েকদিন ধরে বাড়িতে বলছিল পদোন্নতি নিয়ে অফিসে ঝামেলা চলছে। কয়েকজন কর্মচারী-কর্মকর্তা এ পদোন্নতিতে বিরোধিতা করছে। নাঈমকে পদোন্নতি না দিয়ে পছন্দের একজনকে এ পদে দিতে চেয়েছিলেন অ্যাডমিন হাবিব আহমেদ। নাঈমকে পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ এ বিষয়ে আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির এইচ আর অ্যাডমিন হাবিব আহমেদ বলেন, ‘দুপুরে খাবারের পরপরই নাঈম বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত ইপিজেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আজ সকালে খবর পেয়েছি নাঈম মারা গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, নাঈমকে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। এখানে তাকে কেউ মারধর করেননি। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, নাঈমের মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
শেখ মহসীন/এসআর/জিকেএস
Advertisement