বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর দলটির তিন সদস্যর এক প্রতিনিধিদল এ অভিযোগ দাখিল করে।
এসময় তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমগীরের সই করা চিঠি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আসেন। এতে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের জেলা-উপজেলা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যন্ত ক্রসফায়ার, গুম ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ১৫৩ জনকে গুম করা হয়, যাদের মধ্যে অনেকে এখনো নিখোঁজ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির গুম, খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা মো. সালাউদ্দিন খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ।
Advertisement
আরও পড়ুন
এমন উধাও করে দেওয়াটা অতীতে ছিল না: জমির উদ্দিন সরকার শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নাগরিক কমিটির অভিযোগ২০০৮ সাল থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন দাখিল করেছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা গুমের অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অপহরণ করে গুম ও হত্যা করে। এখন পর্যন্ত অনেককেই গুম করে রাখা হয়েছে। বিএনপির তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ১৫৩ জনকে গুম করে হত্যা ও অপহরণ পূর্বক গুম করে রাখা হয়েছে। এ গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত করে মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
ক্রসফায়ারের অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্রসফায়ারের নামে হত্যাকাণ্ডে মোট ২২৭৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন, ধ্বংস করা।
Advertisement
অভিযোগ দায়েরের পর সালাউদ্দিন খান বলেন, ক্রসফায়ার ও গুমের শিকার সবাই আমাদের দলের নেতাকর্মী। যেমন গুমের শিকার হয়েছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, আমাদের নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ১৫৩ জন।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস