রাজনীতি

গাজীপুরে সমাবেশ হবেই : ফখরুল

আগামীকাল শনিবার গাজীপুরে সমাবেশ হবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ট্যাঙ্কারডুবির ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ফখরুল।মির্জা ফখরুল বলেন, জনসভায় সরকারের সহযোগিতা করা উচিত কিন্তু তারা পাল্টা নৈরাজ্য চালাচ্ছে। গাজীপুরে বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করছে, পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।এর আগে সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবন রক্ষায় ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও তদন্ত কমিটির প্রধান মেজর (অব.) হাফিজ প্রতিবেদন পড়ে শোনান। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর কোস্টগার্ডকে নিয়োজিত করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যেতো। কিন্তু সরকার তা করেনি। বরং এসময় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য লক্ষ্য করা গেছে, যা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার পর কমিটি গত ২২ ডিসেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়া কয়েকজন সদস্য এক সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালান। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েরে প্রফেসর ফজলুর করিম তদন্ত কাজে সহায়তা করেন।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তেল অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়ায় শ্যালা, পশুর, বলেশ্বর নদী ও অসংখ্য খালের ভেতর দিয়ে তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনে, যা সুন্দরবনের বৃক্ষরাজি, মৎস্য সম্পদ ও জীব বৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সুন্দরবনের শ্বাসমূলের এক থেকে দেড় মিলিমিটার তেলের আস্তরণ পড়েছে, তা গাছের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ। তেলযুক্ত পানি, বনজ মৎস্য ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। বিরল প্রজাতির ডলফিন ইরাবতির অভয়ারণ্য হুমকির মুখে পড়েছে। এই তেল সুন্দরবনের ওপর নির্ভশীল লাখ লাখ মানুষের জীবনজীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।সুন্দরবন রক্ষায় ৬ দফা সুপারিশ হলো-১. বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষার জন্য শ্যালা নদী ও সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নৌচলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।২. অবিলম্বে ঘষিয়াখালী ও মংলা চ্যানেল চালু করা। চ্যানেলের নাব্য ফিরিয়ে আনতে দখল হয়ে যাওয়া খালসমূহে অবৈধ নির্মিত বাঁধ দ্রুত অপসারণ।৩. সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্প স্থাপন না করা।৪. ট্যাংকার ডুবির ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা এবং তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়।৫. নৌপথে টহল জোরদার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করে সুন্দরবনের নিরাপত্তা জোরদার।৬. সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষ গঠন।

Advertisement