চীনের জিয়াংসু মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (জেএমআই) থেকে তিন বছরের প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরেও ছয় মাস ধরে ধারাবাহিক নিষ্কৃতি সনদ বা ক্যাডেট সিডিসি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
Advertisement
তাদের অভিযোগ, সিডিসি না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক জাহাজে কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। দুই দিনের মধ্যে সিডিসি ইস্যু না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে এই আলটিমেটাম দেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোবায়ের আহমেদ তানজিল জানান, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির (এমওইউ) আওতায় বাংলাদেশের ছয়টি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ৬০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বাছাই করে চীনের জিয়াংসু মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে গত বছরের ১৪ জুন তারা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী দেশে ফিরে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর থেকে ক্যাডেট সিডিসি পাওয়ার কথা ছিল। তবে দীর্ঘ ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও অধিদপ্তর থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসেনি। বরং বিভিন্ন অজুহাত ও বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, জেএমআই চীনের অন্যতম বৃহত্তম ও পুরোনো নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) STCW78/95 এবং অন্যান্য মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের নেভিগেশন সিমুলেটর, ১০ হাজার টন স্থানচ্যুত সমুদ্র জাহাজ এবং আন্তর্জাতিক জব ফেয়ার আয়োজনের সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কসকো (COSCO), মায়েরস্ক (Maersk) এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সরকারি চুক্তির অধীনে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছি। তবুও কেন আমাদের সঙ্গে এমন বৈষম্য করা হচ্ছে? ডিজি শিপিং (DG Shipping) এর এই টালবাহানার জন্য আমরা চাকরির সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে যাচ্ছি।
শিক্ষার্থীরা দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ক্যাডেট সিডিসি ইস্যু না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। যদি আমাদের মধ্যে কারও কোনো ক্ষতি হয়, তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরকে নিতে হবে।
আরএএস/ইএ/জেআইএম
Advertisement