‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা।’
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফেসবুক লাইভে এসে এমন অভিযোগ করেছেন দলটির বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি। এ অভিযোগের বিষয়ে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্তের অনুরোধও জানান।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়।
ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনে এসকেন্দার আলী লেখেন, ‘সঠিক তদন্ত চাই, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের বরাবর। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদেরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন যশোর জেলা যুবদলের সেক্রেটারি। সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করুন, অরিজিনাল অপরাধীদের শান্তি দিন।’
Advertisement
ফেসবুক লাইভে ২৭ মিনিটের ভিডিওতে এসকেন্দার আলী জনি বলেন, ‘যশোর ক্যান্টনমেন্টে লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ৫ তারিখের পর তাকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা। কিছু দিন আগে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। বেনাপোলের পুটখালীর গোল্ড নাসিরের সঙ্গে (সিঙ্গাপুরে) তার টাকা ভাগাভাগি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘাট শহিদকে ধরলে এ তথ্য পাওয়া যাবে। শুধু ওবায়দুল কাদের নন, আওয়ামী লীগের বহু নেতাকে ভারত যেতে সাহায্য করেছেন যশোর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা। এ তথ্য সব নেতাই জানেন। এখন যশোর যুবদল দেখলে মনে হবে যুবলীগ হেঁটে যাচ্ছে। যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা দলকে যুবলীগে পরিণত করেছেন।’
ফেসবুক লাইভে তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজপথে মার খেয়েছি, আমার ভাই মার খেয়েছে। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের কারণে পরিবারসহ জেল খেটেছি। ১৭ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার ও ত্যাগী নেতা হয়েও আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি আন্দোলন সংগ্রাম করবো। ত্যাগী নেতাদের কেন বহিষ্কার করা হচ্ছে। যুবদলের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে মিছিল করেছে। ভিডিওসহ নেতাদের জানানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা বলেন, এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যই এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি শুধু আমাকে নয়, যুবদলের প্রেসিডেন্ট- সেক্রেটারি দুজনের নামেই দীর্ঘদিন ধরে এসব বলে আসছেন। তিনি সুস্থ নন। আপনারাও তদন্ত করে দেখেন, ওবায়দুল কাদের কোন দিক দিয়ে কোথায় গেছেন। একজন একটা কথা বললেই তো হবে না। এতদিন ধরে রাজনীতি করলাম, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন আমরা কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কি না।’
Advertisement
মিলন রহমান/জেডএইচ/এমএস