চট্টগ্রামের মিরসরাই-সীতাকুন্ড সীমান্তবর্তী বড়দারোগাহাট-কমরআলী-ভূঁইয়ারহাট সড়কের বেহালদশা অবস্থা। এতে এই সড়কে যাতায়াত করা কয়েকটি ইউনিয়নের অর্ধলাখ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরসরাই উপজেলার সর্ব দক্ষিণ জনপদ সীতাকুন্ডের কাছে বড়দারগোহাট- কমরআলী-সাহেরখালী বেড়িবাঁধ সড়কটি ১৪ নম্বর হাইতকান্দি ইউনিয়নের বড় অংশ। শুরুতে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের একটি অংশ পড়েছে। আবার ১৬ নম্বর সাহেরখালীর অংশে পড়েছে ভূঁইয়ারহাট ও সমিতিরহাট এলাকা।
এই অঞ্চলের সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কের কয়েকটি অংশে কার্পেট উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো অংশে পাথর-ইট উঠে চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে ১০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
পথচারী জানে আলম বলেন, বৃষ্টির দিনে রাস্তায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। ভাঙ্গাচোরা এই রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। শিল্প জোনের অনেক গাড়ি আগে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতো, বেহালদশার কারণে অন্যপথে যাচ্ছে।
Advertisement
কমরআলী বাজারের ব্যবসায়ী হারাধন চক্রবর্তী বলেন, রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে রোগী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, সড়কটি মিরসরাই উপজেলা এলাকায় হলেও সীতাকুন্ড উপজেলার এলইজিইডির কোনো বড় সড়ক না থাকায় পূর্বের সরকারের আমলে এটিকে সীতাকুন্ড উপজেলার এলজিইডির অধীনে স্থানান্তর করা হয়।
সীতাকুন্ড উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আলমগীর বাদশা বলেন, কমলদহ থেকে কমরআলী ভায়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৭ হাজার ১৪০ মিটার (প্রায় সোয়া ৭ কিলোমিটার) সড়কটির উন্নয়ন প্রস্তাবনা ডিপিজি তালিকাভূক্তিতে প্রক্রিয়াধীন। বাজেট অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করবো আমরা।
তিনি জানান, সড়কটির দুর্দশায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।
Advertisement
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/এএসএম