দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় শ্রমিকদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

নেত্রকোনায় শ্রমিকদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

পুলিশ, আন্দোলনকারী ও স্থানীয়রা জানান, সরকার পতনের কয়েক সপ্তাহ পর থেকে জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান স্থানীয় পরিবহন সেক্টরের মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে শ্রমিকরা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে কৈফিয়ত তলব করা হয়। আগামী সাতদিনের মধ্যে তার বক্তব্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ দিকে তারিফুরের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে জেলা শ্রমিকদলের অপর একটি পক্ষ মঙ্গলবার পরিবহন শ্রমিকদের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে জেলা শ্রমিকদলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সহ-সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল জলিলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক নেতা ও চালকরা অংশ নেন।

তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকদলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন শুরু হলে চালক সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ যখন বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন উশৃঙ্খল মানুষ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

Advertisement

এ ঘটনার পর হাবিবুর রহমান বলেন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমানের নেতৃত্বে ৫ আগস্টের কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই পরিবহনে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছে। তার এসব কর্মকাণ্ডে আমরা অতিষ্ঠ। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করতে চাইলে চাঁদাবাজ তারিফুরের কাছের লোক তৌফিক আহমেদের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমাদের শ্রমিক নান্টু মিয়া, আজগর আলী, সুজন মিয়া ও সাদ্দাম মিয়াকে আহত করে। আহতদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার এসব কার্যকলাপের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। আমরা তারিফুরের চাঁদাবাজি বন্ধসহ এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।ৎ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারিফুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পক্ষের লোক হিসেবে পরিচিত তৌফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বা তার নেতৃত্বে মানববন্ধনে কোনো হামলা চালানো হয়নি। আর তারিফুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার-পাঁচজনের মতো আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এইচ এম কামাল/আরএইচ/এমএস

Advertisement