এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই রানের বন্যা। মিরপুরের শেরে বাংলায় রান না হওয়ার যে বদনাম ছিল, সেটাও এবার মুছে গেছে। আগে যেখানে ১৫০ এর বেশি রান হলেই জয়ের সম্ভাবনা ছিল বেশি, সেখানে এবার ২০০ রানও নিরাপদ নয়।
Advertisement
চলতি বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই রানবন্যার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দুর্বার রাজশাহীর ১৯৭ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। ঢাকা পর্বের ৮ ম্যাচেই ২০০ রান উঠেছে তিনবার। এরমধ্যে বিপিএলে মিরপুরের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের (২১৯) রেকর্ডও হয়েছে।
শেরে বাংলার মরা পিচ খ্যাত উইকেটে যেহেতু রান উঠেছে, সে বিবেচনায় সিলেটে রান উঠা স্বাভাবিক। অনুমিত ধারণার বাস্তব রূপের দেখা মিলেছে এই পর্বের প্রথম ম্যাচেই। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহও সহজে টপকে গেছে রংপুর রাইডার্স। পরের ম্যাচেই রাজশাহীর বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম।
কিন্তু এবার এত রান কেন উঠছে? এক ভক্তের তোলা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আরেক ভক্ত। তারা বলছেন, বাউন্ডারি ছোট হওয়ার কারণেই চার-ছক্কা বেশি হচ্ছে। দর্শকদের বিনোদন দিতে বাউন্ডারি ছোট করে বোলারদের জন্য বিপিএলকে কঠিন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ এবারের বিপিএলে বোলারদের জন্য বেশি কিছু রাখা হয়নি।
Advertisement
গতকাল রোববার ম্যাচশেষে ভক্তদের সে কথার সমর্থনই দিয়েছেন তামিম। তিনিও মনে করেন, বাউন্ডারি ছোট হওয়ার কারণেই এবার রান বেশি হচ্ছে। ভক্তদের কথার বাইরে তামিমের ভাবনা, এবারের উইকেটও ভালো। বোলারদের জন্য কিছু রাখতে হলে এমন উইকেটে বাউন্ডারি বড় করার বিকল্প নেই।
তামিম বলেন, ‘মাঠ ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে বাউন্ডারি বড় হোক, সেটা দেখতে চাই। আপনার কাছে যখন জায়গা আছে, তখন ৫৮-৬০ মিটার বাউন্ডারি কেন হবে, সেটা আমি জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন খেলবেন, তখন তো বাউন্ডারি ৬৫-৭০ মিটারের বাউন্ডারি থাকে। এটা বোলারদের জন্য কিছু থাকে। কারণ, উইকেট অনেক ভালো।’
পিচ নিয়ে ক্রিকেটারদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এবার ভালো পিচে তৈরি করায় সন্তুষ্ট তারা। তামিমও ব্যতিক্রম নয়। এর জন্য পিচ কিউরেটরদের কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘কিউরেটরকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা দারুণ উইকেট বানিয়েছে। উইকেট অনেক ভালো, বাউন্ডারি বাড়িয়ে দিন, যেহেতু জায়গা আছেই। এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছুই নেই। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ আমার কথা শুনবে, বাউন্ডারি বাড়িয়ে দেবে। কারণ, আপনার কাছে জায়গা আছে।’
Advertisement
এমএইচ/জিকেএস