খেলাধুলা

কত পারিশ্রমিকে নেপালে কাবাডি লিগ খেলবেন ৬ বাংলাদেশি

ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি কাবাডি লিগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ২০১৪ সাল থেকে। এরপর থেকে প্রায় প্রতি আসরেই উপস্থিতি থাকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। ১১তম খেলোয়াড় হিসেবে সর্বশেষ আসরে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে এসেছেন মিজানুর রহমান।

Advertisement

পাকিস্তানের সুপার কাবাডি লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে বাংলাদেশ দুই খেলোয়াড় সবুজ মিয়া ও মাসুদ করিমের। তবে এই দুই দেশের বাইরে প্রথমবারের নেপালের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবেন বাংলাদেশের ৬ কাবাডি খেলোয়াড়।

এই ৬ জনের মধ্যে চারজন রোববার নেপাল গেছেন। তারা হলেন- মিজানুর রহমান (কাঠমান্ডু মেভারিকস), ইয়াসিন আরাফাত (ধানগাদি ওয়াইল্ড-কেটস), মনিরুল চৌধুরী ও সবুজ মিয়া (পোখরা লেকার্স)। ১২ জানুয়ারি যাবেন শাহ মোহাম্মদ শাহান ও রোমান হোসেন (হিমালয়ান রাইডার্স)।

নেপালের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি। রোববার একাধিক খেলোয়াড় দাবি করেছিলেন তারা নেপালে খেলে কি পারিশ্রমিক পাবেন তা নিজেরা জানেন না। সাধারণ সম্পাদক জানেন।

Advertisement

তবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা কত পারিশ্রমিক পাবেন তা জানেন না বলে গণমাধ্যমে যে দাবি করেছেন তা ঠিক না। সবাই জানেন। ওই ৬ খেলোয়াড়কে নিয়ে আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে প্রতিদিনের আপডেট দেওয়া হয়। নেপাল থেকে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকসহ অন্যান্য যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে তার চিঠি সবাই দেখেছে।’

বাংলাদেশের ৬ খেলোয়াড়ই পারিশ্রমিক পাবেন ১০০০ মার্কিন ডলার করে। যাওয়া-আসার বিমান টিকিট, নেপালে থাকা-খাওয়ার খরচও বহন করবে আয়োজকরা। গত ২৬ ডিসেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনকে এ নিশ্চয়তা দিয়েছে নেপাল।

ভারতের কাবাডি লিগের তুলনায় নেপালের পারিশ্রমিক অনেক কম। তবে নেপালের লিগ খেলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন সেটাকেই বড় করে দেখছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। আরো কিছু দেশ প্রো-কাবাডি শুরু করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নেপালে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ভালো করতে পারলে অন্য দেশের কাবাডিতেও তাদের দরজা খুলে যাবে।

আরআই/আইএইচএস/

Advertisement