বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে স্পর্শকাতরতার আবহেই বন্দি বিনিময়ের ছায়া পড়লো পশ্চিমবঙ্গে। আগামী ৯ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এর আগেই বাংলাদেশে বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মুক্তির খবরে খুশির আবহ গোটা রাজ্যে।
Advertisement
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) হলদিয়ার কাছে আন্তর্জাতিক পানি সীমানায় দুই দেশের মধ্যে ১৮৫ জন বন্দি মৎস্যজীবীর বিনিময় হয়। এর মধ্যে ৯৫ জন ভারতের, আর বাংলাদেশের ছিলেন ৯০ জন মৎস্যজীবী।
সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে এসে বাংলাদেশ থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া মৎস্যজীবীদের স্বাগত জানান মমতা। এসময় তাদের ১০ হাজার রুপি করে অনুদানও দেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চোখে জল এসে যাওয়ার মতো দৃশ্য। বাংলাদেশ-ভারত আমরা দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র একে অপরকে ভালোবাসি। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। তারা সীমানা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের মধ্যে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কী করে তাদের খুঁজে পেলাম? আগে মৎস্যজীবীরা হারিয়ে গেলে, জেলে থাকলে অথবা মারা গেলে তাদের কেউ খোঁজও রাখতো না। কিন্তু আমাদের সরকার আসার পর আমরা তাদের একটি করে মৎস্যজীবী আইডি কার্ড করে দেই। কোনো মৎস্যজীবী কোথাও হারিয়ে যায় বা পানিতে ডুবে যায় বা অন্য জায়গায় চলে গেলে আমরা তাদের ট্র্যাক করতে পারি এই আইডেন্টিটি কার্ড দিয়ে। ফলে কে কোথায় আছে আমরা জানতে পারি।
মমতা বলেন, আমরা জানতে পারি, তাদের বাংলাদেশের পুলিশ থানায় আটকে রেখেছে। আমাদের প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা দুই দেশ দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহাজন ও যারা ট্রলারে মাছ ধরতে যান, তাদের আমি বারণ করবো আপনারা আমাদের জলসীমানার বাইরে যাবেন না। তাতে মাছ উঠলে উঠবে, না উঠলে না উঠবে। আগে নিজের জীবন বাঁচান। বেঁচে থাকলে অনেক মাছ পাবেন।
Advertisement
গত বছর ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীকে আটক করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাসখানেক আগে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী আমাদের সীমানায় এসে পড়ে। তারা অসুস্থ ছিলেন, আমরা তাদের ভালো করে চিকিৎসা করাই। আমরা তাদের খুব যত্ন করে রেখেছিলাম এবং তাদের আমরা ফেরত দিয়েছি। তখন ওরা বুঝতে পারলো, আমাদের লোকও ওখানে আটকে আছে। দুই দেশ মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাক, সেটাই আমি চাই।
ডিডি/কেএএ/