প্রবীর মিত্র ছিলেন অভিনেতা। তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই পুরোদস্তুর ক্রিকেটার ছিলেন এই অভিনেতা। ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশনে ক্রিকেট খেলতেন প্রবীর মিত্র। ক্যাপ্টেন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এমনকি হকিও খেলেছেন একসময়।
Advertisement
২০১৯ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রবীর মিত্র বলেন, ‘অভিনেতা হবো কখনও ভাবিনি। খেলতে খেলতে জীবন পার করতে চেয়েছিলাম। হঠাৎ অভিনয়টা চুম্বকের মতো টেনে ধরলো। তারপর থেকে অভিনেতাই হয়ে গেলাম।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর ‘চরিত্রাভিনেতা’ হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। তৎকালীন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’, ‘বাঁধনহারা’, ‘মৌ চোর’, ‘সুখের সংসার’, ‘প্রতিহিংসা’, ‘মান সম্মান’, ‘চেনা মুখ’, ‘অপমান’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘আশীর্বাদ’, ‘ফেরারি বসন্ত’, ‘আঁখি মিলন’, ‘নাজমা’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘প্রিন্সেস টিনা খান’,‘ তালাক’, ‘মান সম্মান’, ‘রসের বাঈদানী’, ‘নয়নের আলো’, ‘সুরুজ মিঞা’, ‘দহন’, ‘মায়ের দাবি’,‘ দুলারি’, ‘অভাগী’, ‘নারী’, ‘শিরি ফরহাদ’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘চাষার মেয়ে’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ’, ‘ঘর ভাঙা ঘর’, ‘বাল্যশিক্ষা’, ‘দুর্দান্ত দাপট’, ‘মৃত্যু কত ভয়ংকর’, ‘ভণ্ড বাবা’, ‘রানী কেন ডাকাত’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘বেদেনীর প্রেম’, আশা নিরাশা’, ‘ডাকু ও দরবেশ’, ‘নয়া তুফান’, থেকে শুরু করে একালের ‘বলো না তুমি আমার’, ‘দেহরক্ষী’, ‘সুইটহার্ট’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ এর মতো ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অসুস্থ হওয়ার আগে প্রায় ৪০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন অর্থারইটিজ, বিশেষ করে হাঁটুর তীব্র ব্যাথায় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকতে হয়েছে প্রবীর মিত্রকে। যাপন করতে হয়েছে প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন। পরে অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এই রোগে হাড়ে ক্ষয় ধরেছিল তার। প্রসঙ্গত, ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। রোববার রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
এলআইএ/আরএমডি/জেআইএম