বই পড়লে অস্পষ্টতা দূর করা যায়: প্রধান বিচারপতি

দেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘আমি সব সময় মনে করি বই জীবনের পরিপূরক। জীবনযাত্রায় আমরা বহু ধাপ বা অধ্যায় পার হয়ে আসি। সেই সব অধ্যায় বা ধাপগুলোতে যদি কোনো অপরিপূর্ণতা থেকে যায় বা অস্পষ্টতা থেকে যায় সেখানে কিন্তু আর ফেরত যাওয়ার সুযোগ থাকে না।

কিন্তু একটা বই শুরু থেকে শেষ করার পর যদি মনে হয় কোনো অধ্যায় আপনি বোঝেননি তাহলে কিন্তু সুযোগ থাকে ফেরত যাওয়ার। সেই সুবাধে ওই বইয়ের অস্পষ্টতা কিন্তু দূর হয়ে যায়। সেইসঙ্গে আমি যেটা মনে করি, জীবনের কতগুলো অস্পষ্টতাও এক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে যায়।’

রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার আয়োজিত বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান মিলন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপরে বই লেখার আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে তিনি ফিতা কেটে বই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর পর তিনি বই মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তা ও আইনজীবী সমিতির নেতা ও অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত বই মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খোকন জানান, ২০১৫ সালে প্রথম বার ভবন প্রাঙ্গণে বই মেলার আয়োজন শুরু হয়। তিনি তখন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি বলেন, ‘আইন পেশা একটি বুদ্ধিভিত্তিক পেশা। এখানে বই অপরিহার্য বিষয়। এ মেলা আইনজীবীদের বই সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়। বইমেলায় আইন, আইনের বিভিন্ন নজির, রাজনৈতিক, শিশু-সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বই স্টলে রাখা হয়।

তিনি বলেন, এ উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্ট বারের মর্যাদাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা এ মেলায় অনেক উপকৃত হচ্ছেন। এই মেলায় আইনের বই ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যায়।

ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘২০১৫ সালে প্রথম বার ভবন প্রাঙ্গণে বইমেলার আয়োজন শুরু হয়। তখন বারের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।’ এর পর থেকে প্রতিবেছর মেলার আয়োজন করা হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, ‘আইনপেশা একটি বুদ্ধিভিত্তিক পেশা। এখানে বই অপরিহার্য। মেলায় আইন, আইনের বিভিন্ন নজির, রাজনৈতিক, শিশু-সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বই স্টলে রাখা হবে। বই সংগ্রহের ক্ষেত্রে এ মেলা সহায়ক হবে।’

সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এ বইমেলা দশদিন চলবে। এবারের মেলায় ৪৮টি স্টল রয়েছে।

এফএইচ/এমএএইচ/