খেলাধুলা

ফাহিম ভাই পদত্যাগ করতে চেয়েছেন, একথা সত্য নয় : ফারুক

খালি চোখে কিছুই ধরা পড়ে না। তবে ভিতরে ভিতরে সম্পর্কটা শীতল থেকে শীতলতর হচ্ছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মধ্যে ভেতরে ভেতরে চাপা অনুযোগ, ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দিনকে দিন দুরত্বও বেড়েছে। একান্ত ব্যক্তিগত আলাপে দু’জন দু’জনার ব্যপারে চাপা অনুযোগ করতেও দেখা গেছে। তবে সেটা লোকচক্ষুর আড়ালেই বেশি।

Advertisement

তাই দেশের ক্রিকেটপ্রেমিদের জানাই ছিল না বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আর পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মধ্যে ভেতরে সম্পর্কটা কী অবস্থায় রয়েছে। মূলত দুজনার কেউই কারো ব্যাপারে সন্তুষ্ট না।

কিন্তু আজ রোববার সকালে যমুনা টিভিতে সাক্ষাৎকারে ফাহিম বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার এবং বিসিবি প্রধানের সম্পর্ক ভাল না। আজ যমুনা টিভির সাথে সাক্ষাৎকারে ফাহিম বলে ফেলেছেন, তার কাজে স্বাধীনতা কম পাচ্ছেন। এক পর্যায়ে ফাহিম বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে তার বোর্ডে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। মানে তিনি (ফাহিম) বোর্ড থেকে পদত্যাগ করতে চাচ্ছেন।

মানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আর বোর্ডে নাও থাকতে পারেন। ফাহিমের এমন সাক্ষাৎকারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। অনেকের মনেই প্রশ্ন তবে কি নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর বোর্ডে থাকবেন না?

Advertisement

এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন ফারুক আহমেদ নিজেই। আজ রোববার সন্ধ্যার পর সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ জানিয়ে দিয়েছেন, ফাহিম পদত্যাগ করতে চান, এমন কথা সত্য নয়। ‘বলেছে, কাজ করা কঠিন। পদত্যাগ করতে চায় এমন কিছু শুনিনি। যাই হোক, ফাহিম ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। যমুনা টিভির সাথে আমি কথা বলেছি। ফাহিম ভাই আমার সাথে ছিল।’

ফারুক আরও যোগ করেন, নতুন বোর্ড বলতে তো ফাহিম ভাই আর আমাকেই বোঝায়। বাকি সবাই তো পুরনো। যখন কাজের মাত্রা বেশি লোক সংখ্যা কম তখন অনেক দিকে নজর দিতে হয়। তখন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। ওই জিনিস থেকেই উনি হয়ত চিন্তা করেছেন কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না।

বিসিবি প্রধান বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার যেদিনের কথায় মনোক্ষুণ্ন হয়েছেন ফাহিম ভাই। সেদিন ফারুক খুব ভাল ম্যুডে ছিলেন না। তাই মুখে এমন কথা, ‘টিকিটের চাপ ছিল, প্রেসিডেন্ট বক্সেও একটা ঘটনা ঘটেছে। সব মিলে দিনটা আমার সেরা দিন ছিল না। তখন একটা কথা এসেছে। কার সাথে কী বলেছি হয়ত আমার মনেও নেই। মতের অমিল খুব স্বাভাবিক। এখানে দোষের কিছু দেখি না। এগুলো আগে নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করা উচিৎ।’

ফারুক শেষ করেন এভাবে, ‘ফাহিম ভাই আমার বয়োজ্যেষ্ঠ, সিনিয়র মানুষ। আমারও সিনিয়র প্লেয়ার। আমার অনেক সিনিয়র। সেদিক বিবেচনা করে উনি হয়ত মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন। ফাহিম ভাই আর কোনো কথা বলতে চাননি। আমার পাশেই ছিলেন। মোট কথা আমরা সমস্যার সমাধান করেছি।’

Advertisement

এআরবি/আইএইচএস