দেশের আরও ২১ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রোববার (৫ জানুয়ারি) তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এর আগে গত সপ্তাহেও দেশের ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছিল বিএফআইইউ।
আরও পড়ুন ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলববিএফআইইউ যে ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ডিবিসি নিউজের বার্তা প্রধান প্রণব সাহা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও এম শামসুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বার্তা প্রধান মামুন আবদুল্লাহ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট অনিমেষ কর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন রাসেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এসএ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, এসএ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী ও সমকালের সাংবাদিক রামা প্রসাদ।
এই ২১ সাংবাদিক (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র-কন্যাসহ) এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবগুলোর তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেনের সব বিবরণী) পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া চিঠিতে নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ।
Advertisement
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অনেক পেশাজীবীর ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর বিএফআইইউ ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছিল ব্যাংকগুলোর কাছে।
ইএআর/এমকেআর/জিকেএস