আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি কিশোরী পাচার, তিন ভারতীয়র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাংলাদেশি কিশোরীকে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নদীয়ার রানাঘাটের ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারপতি মনোদীপ দাশগুপ্ত। জানা গেছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসের শেষের দিকে ধানতলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে ভারতে আনার চেষ্টা হচ্ছিল।

Advertisement

সে সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের দেখে ফেলায় দাঁড়াতে বলে। বিএসএফের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের পালাতে দেখে বিএসএফ-এর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

সবাই পালাতে সক্ষম হলেও এক কিশোরী বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই নারী পাচার চক্রের হদিস মেলে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত বকুল মন্ডল, জসীম মন্ডল ও লতা সরকার ওরফে পূজা বা পায়েল। এই তিনজন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বাসিন্দা।

এরা সবাই বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে অবৈধভাবে নিয়ে আসতো। কখনো মুম্বাই কখনো বেঙ্গালুরু মতো শহরের যৌনপল্লীতে তাদের বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

প্রথমে ধানতলা থানার পুলিশ নারী পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে এই মামলার গুরুত্ব বুঝে সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। সিআইডি তদন্তে নেমে বেঙ্গালুরু থেকে বকুল ও জসিমকে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লতার নাম উঠে আসে।

আরও পড়ুন: বিলুপ্তির পথে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি বাংলাদেশের ভিসা যেন সোনার হরিণ, হতাশা বাড়ছে ভারতীয়দের পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করতে বিএসএফ অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে, দাবি মমতার

সরকারি পক্ষের আইনজীবী অপূর্বকুমার ভদ্র জানিয়েছেন, বিচারক তিনজনকেই আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সাজা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিএসএফের হাতে ধরা পড়া কিশোরীকে অনেক আগেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিডি/টিটিএন

Advertisement