জাতীয়

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ এসআইদের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান

ট্রেনিংয়ে পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)। একই সঙ্গে পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচের চলমান ট্রেনিং থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ জানান তারা।

Advertisement

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ের পশ্চিম পাশের গেটের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় তাদের হাতে ‘লাল সবুজের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশ সেবার ব্রত নিয়ে বোঝা কেন হতে হবে’, ‘বিনা বেতনের ৩৬৫ দিন, আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দিন’, ‘দ্রুত পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘দাবি মোদের একটাই, দ্রুত পুনর্বহাল চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

মাঠে ও ক্লাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চার ধাপে ৩২১ জন এসআইকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আরও পড়ুনঅব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ এসআইয়ের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ, পদায়নে রুলরাজনৈতিক কারণে নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি

অব্যাহতি পাওয়া উপ-পরিদর্শকরা জানান, তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা হাস্যকর। একাডেমিতে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। একাডেমির সিসি ক্যামেরা চেক করলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।

এসময় বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেন তারা।

যেদিনের ঘটনা কেন্দ্র করে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেদিন তিনি একাডেমিতে উপস্থিত ছিলেন না, ছুটিতে ছিলেন বলেও দাবি করেন একজন শিক্ষানবিশ এসআই।

আরেকজন বক্তব্যে বলেন, আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমাদের পরিবার এই চাকরির জন্য কত কিছুই ত্যাগ করেছে, কিন্তু আজ আমরা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। এ যন্ত্রণা বোঝানোর মতো নয়।

Advertisement

কর্মসূচি পালনকালে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি এবং গুরুত্বপূর্ণ সব দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। অবস্থান কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করবো। সেখানে আরও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে সারদায় বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তাদের মধ্যে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন ও সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আরএমএম/কেএসআর/জেআইএম