জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য সংস্কার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষ আগামী মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হবে। সংস্কার করা নতুন ভবনটি উদ্বোধন করবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
Advertisement
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য নতুন করে সেজেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। উদ্বোধনের পর দৃষ্টিনন্দন এই ভবনে চলবে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত নজিরবিহীন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জাগো নিউজকে জানান, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য সংস্কার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষ আগামী মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) উদ্বোধন করা হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এ ভবন উদ্বোধন করবেন।
১৯০৫ সালে গভর্নর হাউজ হিসেবে যাত্রা করা পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটি পাকিস্তান আমল থেকে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
Advertisement
আরও পড়ুন
এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের আশা চিফ প্রসিকিউটরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিদেশিদেরও বিচার করতে পারবে ট্রাইব্যুনালবিচার চলার মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় শত বছরের পুরোনো ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয় ট্রাইব্যুনাল। পুরোনো এই ভবনের পাশেই টিনশেডের স্থাপনা তৈরি করে সেখানে স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন। এরপর থেকে নতুন টিনশেড স্থাপনাতেই চলে আসছিল ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে টিনশেড স্থাপনাতেই বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের অবকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের করতে পুরোনো ভবনটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শুরু হয় সংস্কার কাজ।
এর আগে সংস্কারের কাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন যে নান্দনিক রূপে দেখা যাবে তার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্ট দেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
Advertisement
এই সংস্কার কাজের দায়িত্বে ছিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সংস্কার কাজ মনিটরিংয়ে কয়েক দফা সরেজমিন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এফএইচ/এএমএ/এমএস