দুই মাতালের কাণ্ডএক রাতে দুই মাতাল এমন মদ খেয়েছে যে, ঠিকমতো হাঁটতেই পারছে না। তারপরও একটা বিল্ডিং দেখে এক মাতাল আরেক মাতালকে বলল-১ম মাতাল : দেখ, কতো সুন্দর ওই বিল্ডিংটা! চল, ওটাকে ঠেলে আমাদের বাসায় নিয়ে যাই।এরপর দুই মাতাল মিলে সমানে বিল্ডিংটাকে ঠেলতে লাগলো। একটু পরেই পরিশ্রমে ওদের শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ঝরতে লাগলো। তখন ওরা ওদের জামা খুলে আবার সমানে বিল্ডিংটাকে ঠেলতে লাগলো। একটু পর এক চোর ব্যাপার-স্যাপার দেখে পিছন থেকে ওদের জামা নিয়ে চুপচাপ সরে পড়লো।কিছুক্ষণ পর প্রথম মাতাল ওদের জামাগুলো নাই দেখে আরেক মাতালকে বলল-১ম মাতাল : কিরে, আমাদের জামা গেলো কই?২য় মাতাল : আরে, আমরা তো বিল্ডিংটাকে ঠেলতে ঠেলতে অনেক দূরে নিয়ে এসেছি না!১ম মাতাল : তাহলে চল, জামা দু’টো নিয়ে আসি। নইলে আবার চোরে চুরি করে নেবে।২য় মাতাল : কিন্তু বিল্ডিংটা যতো সুন্দর! চোর যদি বিল্ডিংটাই চুরি করে নিয়ে যায়?১ম মাতাল : আচ্ছা, তাহলে এক কাজ করা যাক। বিল্ডিংটা নিয়েই চল!এবার দুই মাতাল মিলে বিল্ডিংটাকে উল্টো দিকে ঠেলতে লাগলো!****চা নিয়ে কবিদের কাব্যালাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসায় বড় বড় কবিদের আড্ডা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী সেখানে সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেছে। বিরজার বানানো চা খেয়ে প্রথমে কবিগুরু বললেন, ‘আমারো পরানো যাহা চায়, তার কিছু নাই, কিছুই নাহি এই চায়ে গো।’এটা শুনে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম লাফ দিয়ে উঠে বললেন, ‘আমি বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত! যদি ভালো করে কেউ চা বানিয়ে আনতো!’নজরুলের কথা শুনে উদাস মুখে জীবনানন্দ দাস বললেন, ‘আর আসিব না ফিরে, রবি ঠাকুরের নীড়ে, গরম চায়ে মুখ দিয়ে ঠোঁটগিয়েছে পুড়ে।’কিছুক্ষণ পরেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বললেন, ‘কবিতা তোমাকে দিলাম আজকে ছুটি, এক কাপ চা যেন ঝলসানো ছাই!’হেলাল হাফিজ তখন গুমরে গুমরে বললেন, ‘নষ্ট পাতির সস্তা চায়ে মুখ হয়েছে তিতা! কষ্ট চেপে নষ্ট চায়ে, মুখ দিয়েছি কিতা?’রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ নরম কণ্ঠে বললেন, ‘ভালো আছি, ভালো থেকো! চায়েতে চিনি বেশি মেখো! দিও তোমার......।’তাকে থামিয়ে দিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ বললেন, ‘আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম! মানুষ হলে এমন চায়ে চুমুকদিতাম না!’সবশেষে রবীন্দ্রনাথ অসহায় চোখে মৃণালিনী দেবীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ওরে অধম, ওরে কাঁচা! ভালো করে চা বানিয়ে, আমাকে তুই বাঁচা!’এসইউ/এমএস
Advertisement