হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চারটি মারকেভা ট্যাঙ্ক এবং হেলিকপ্টারে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া জাবালিয়া এলাকায়ও হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এক বিবৃতিতে কাসেম ব্রিগেড দাবি করেছে যে, তারা একটি ইসরায়েল হেলিকপ্টারের দিকে রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের কাছে একটি যানবাহনে হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়। বেশ কিছু ফুটেজ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত দুদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সেখানে আরও তীব্র হামলা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার কমপক্ষে ৭৩ ফিলিস্তিনি এবং বৃহস্পতিবার আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
Advertisement
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজার ২৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৩৬টি ইসরায়েলি হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে সেখানে ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজার ৬৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮৩ জন।
এর আগে গাজার খান ইউনুসের কাছে আল-মাওয়াসি নামক এক তথাকথিত ‘মানবিক অঞ্চল’-এ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: গাজায় দুদিনে ইসরায়েলি হামলায় ১৫০ ফিলিস্তিনি নিহত গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ৩৪ বিমান হামলা, নিহত ৭১ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৫৫০০ ছাড়িয়ে গেছেনিহতদের মধ্যে তিনজন ছেলে ও দুইজন মেয়ে ছিল। তাদের বয়স সাত থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। এই ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ বলেছে, শিশুদের জন্য এখন কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়-না বোমা থেকে, না ঠান্ডা, রোগ বা ক্ষুধা থেকে। এই ধ্বংসযজ্ঞ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
টিটিএন
Advertisement