পাখি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘পাখিমেলা’।
Advertisement
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো আয়োজনের মধ্যে অন্যতম পাখিমেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখিমেলা ও প্রজাপতিমেলায় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হন।
তিনি বলেন, মানুষের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে সাজেকের মতো জায়গায় দৃশ্যমান অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতিও বিতাড়িত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও দৃশ্যমান অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে পাখির আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য।
Advertisement
মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০০১ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখিমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পাখি সংরক্ষণে দেশবাসীকে সচেতন করতেই এই আয়োজন।
মেলায় বিগ বার্ড বাংলাদেশ, সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড, কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এবং স্পেশাল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এর পুরস্কার প্রদান করা হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত পাখিমেলায় ছোটদের পাখিবিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ, বই-পোস্টার প্রদর্শনী, সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, পাখি দেখা, পাখি চেনার প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত পাখিমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
Advertisement
এছাড়া আইসিইউএন বাংলাদেশ, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, বার্ড ক্লাবের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী বক্তব্য দেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মানছুরুল হক।
সৈকত ইসলাম/এসআর/জিকেএস