দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার নিয়ে কয়েক ঘণ্টার নাটকীয়তার পর এই প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে পুলিশ। সামরিক বাহিনী ও ইউনের নিরাপত্তা কর্মীরা একত্রে মানবপ্রাচীর তৈরি করে এবং রাস্তায় গাড়ি রেখে পুলিশকে আটকে দেয়। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ।
Advertisement
ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত ডিসেম্বরের শুরুতে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন। যদিও এই পদক্ষেপ ছিল স্বল্পস্থায়ী, তবে তা দেশটিকে মারাত্মক রাজনৈতিক সংকটে ফেলেছিল। গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে অভিশংসিত করে বিরোধী-নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্ট।
পরে চলতি সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সিউলের আদালত। এর আগে তদন্তকারীদের তিনটি সমন উপেক্ষা করেন অভিশংসিত এই প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে সিউলে ইউনের বাসভবনের বাইরে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নেয় পুলিশের ভ্যান। সকাল ৮টায় পুলিশ সদস্যরা বাসভবনের দিকে অগ্রসর হন। প্রথমে ২০ সদস্যের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়, যা পরে বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়ায়।
তবে, নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক সদস্যরা তাদের গ্রেফতারি প্রচেষ্টায় বাধা দেয়। ইউনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ হয়।
পরে দুর্নীতি তদন্ত অফিস (সিআইও) জানায়, পরিস্থিতি বিচার করে তারা ইউনকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে। সিআইও’র মতে, ‘গ্রেফতার কার্যত অসম্ভব’ এবং ইউনের আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি ‘দুঃখজনক’।
তদন্তকারীদের হাতে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইউনকে গ্রেফতারের আরেকটি প্রচেষ্টা হতে পারে।
Advertisement
সূত্র: বিবিসিকেএএ/