মাত্র তিন ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স। এখনই তাদেরকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বলা যায় না। তবুও, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও এবারের আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল বরিশাল বুলসকে যেভাবে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল, তাতে উপরোক্ত অভিধায় ভূষিত করলে অত্যুক্তি হবে না।
Advertisement
বরিশালের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ১৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে পাড়ি দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে টানা তিন ম্যাচ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে এককভাবে শীর্ষে রয়েছে রংপুর।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে যেভাবে ব্যাটে-বলে লড়াইয়ের প্রত্যাশা করেছিলো সবাই, তেমনটা হলো না। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণের মুখে ১৮.২ ওভারে মাত্র ১২৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় তামিম ইকবালের দল। জবাবে ১৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছায় রংপুর।
একজন দেশি এবং একজন ইংলিশ ব্যাটারের ব্যাটে অনবদ্য জয়টি পেয়েছে রংপুর। দু’জন গড়েছেন ১১৩ রানের অপরাজিত জুটি।
Advertisement
দেশি ব্যাটার সাইফ হাসান। ৪৬ বলে অপরাজিত থাকলেন ৬২ রানে। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মেরেছেন। বিদেশি ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস। ৪১ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার মার মারলেন তিনি।
১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় একটি ধাক্কা খেয়ছিলো রংপুর রাইডার্স। ১০ এবং ১৫ রানের মধ্যে দুই ব্যাটার আজিজুল হাকিম তামিম এবং তৌফিক খানকে ফিরিয়ে দেন বরিশালের ইকবাল হোসেন ইমন। দু’জনই রানের খাতা খুলতে পারেননি। আজিজুল হাকিম গোল্ডেন ডাক মারেন। ইকবালের বলে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তৌফিক খান খেলেন ৩ বল। তিনিও একই ওভারে ইকবালের বলে তানভির ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় ফরচুন বরিশাল। মূলত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররা আজ দাঁড়াতেই পারেনি রংপুরের বোলারদের সামনে। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে একটি লো স্কোর উপহার দিয়েছে তারা।
রংপুরের বোলার খুশদিল শাহ, নাহিদ রানা ও ইফতিখার আহমেদরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। যার ফলে ফরচুন বরিশাল রান তুলতে সক্ষম হয়নি খুব একটা। ৩ উইকেট নেন খুশদিল শাহ, ২টি করে উইকেট নেন ইফতিখার আহমেদ এবং নাহিদ রানা। মেহেদী হাসান ও আকিফ জাভেদ মিলে নেন ১টি করে উইকেট।
Advertisement
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে থাকে ফরচুন বরিশাল। জাতীয় দলের সদ্য টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন ১০ বলে মাত্র ৯ রান করে। জাতীয় দলের আরেক মারকুটে ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ও নিষ্প্রভ। ৬ বল খেলে আউট হয়ে গেলেন মাত্র ৪ রানে।
তামিম ইকবাল এতক্ষণ ধৈয্য ধরলেন। রানও কিছুটা তুলেছিলেন। এবার ধৈয্য ধরে থাকতে পারলেন না। ১৮ বলে ২৮ রান করা তামিম নাহিদ রানা বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবি ১৯ বলে ২১ রান করেন। ১৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় ফরচুন বরিশাল।
আইএইচএস/