গোলাম রব্বানী ছোটন আবার ফিরছেন বাফুফেতে- কয়েকদিন আগেই সেটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। চুক্তি পর্ব শেষ হওয়ার পর ১ জানুয়ারি থেকে বাফুফের ‘হেড অব ইয়থ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এলিট একাডেমি’- হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী ফুটবলের সাবেক প্রধান এই কোচ।
Advertisement
২০২২ সালে নেপালে নারী ফুটবল দলকে সাফ চ্যাম্পিয়ন করানোর পর থেকেই বাফুফের তৎকালীন টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অস্বস্তিতে ছিলেন ছোটন। ২০২৩ সালের মে মাসে তিনি বাফুফের চাকরি ছেড়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলের। ১৯ মাস পর আবার বাফুফেতে ফিরলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিজের নতুন দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। বললেন, ‘আমি আবার নতুন করে ফিরলাম। এখন আমার দায়িত্ব হলো খেলোয়াড় তৈরি করা। এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ আছি। বাফুফে থেকে সব ধরণের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বাফুফের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদিকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আমারও বাফুফেতে ফেরার ইচ্ছা ছিল।’
বাফুফের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছেন ছোটন। ২০২৫ সাল তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। বাফুফের এলিট একাডেমি চলমান ছিল কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। সেখানে নতুন টার্ফ স্থাপনের কাজ চলছে। তাই একাডেমির কার্যক্রম যশোরের শামস-উল হুদা ফুটবল একাডেমিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাফুফে।
Advertisement
এলিট একাডেমি অংশ নিয়ে থাকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে। যশোর একাডেমির কার্যক্রম সেখানে হলে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অংশ নেওয়ায় সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে ছোটন বলেন, ‘বিদেশির একাডেমিগুলোর যদি তাকাই তাহলে আমরা দেখি এভাবে অংশ নেয়। তাই কোনো সমস্যা হবে না।’
আরআই/আইএইচএস/